লিবিয়ায় দুই ড্রোন হামলায় শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ নিহত ১৬

লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক এলাকায় ৭২ ঘন্টার মধ্যে দুই ড্রোন হামলায় অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। দেশটির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারি জোট খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন রেনেগেড মিলিটারীকে হামলা দুটির জন্য দায়ী করেছে।

দেশটির জাতীয় সরকার জানিয়েছে, রোববার দক্ষিণ ত্রিপলির আল-সোয়নি আবাসিক এলাকায় বিমান হামলায় অন্তত ৫ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়েছে।

তার কয়েক ঘন্টা আগে দক্ষিণাঞ্চলের মারজুক শহরের একটি বাড়িতে ড্রোন হামলায় দুই নারী ও ৯ শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়। শহরের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করে বলেছে, নিহত নারীদের একজন ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা।

Travelion – Mobile

দেশটিতে জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সরকারি জোটের (জিএনএ) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট থেকে এই হামলার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের ড্রোন থেকে বোমা হামলা চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। জিএনএ কমান্ডার খলিফা হাফতার নেতৃত্বাধীন সরকারকে আরব আমিরাত সমর্থন দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠলেও দেশটি তা অস্বীকার করেছে।

লিবিয়ায় খলিফা হাফতারের দুর্বৃত্ত প্রশাসনকে সমর্থন দিতে এই হামলা চালানো হয় বলে স্থানীয় বার্তা সংস্থার বরাতে তুরস্কভিত্তিক ডেইলি সাবাহ এমনটাই জানিয়েছে।

সোমবার জিএনএ-র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হামলাগুলো যুদ্ধাপরাধের সামিল। বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ করে এই ধরণের যুদ্ধাপরাধমূলক হামলা থামাতে জরুরী পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জিএনএ।

গত নভেম্বরে লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির কাছের একটি বিস্কুট কারখানায় হামলা চালায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। এতে ওই কারখানার অন্তত সাত শ্রমিক নিহত ও আরও ১৫ জন আহত হন। এরমধ্যে তিনজন প্রবাসী বাংলাদেশি কর্মী ছিলে, যাদের মরদেহ বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) দেশে এসে পৌঁছায়।

গত ৪ এপ্রিল লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় বাহিনীর নেতা খলিফা হাফতার রাজধানী ত্রিপোলিতে অভিযান চালিয়ে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, হাফতার বাহিনীর ওই অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত ও আরও ৫ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।

২০১১ সালে লিবিয়ার স্বৈরশাসক মুয়াম্মার আল গাদ্দাফির মৃত্যুর পর দেশটির শাসন ক্ষমতা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। এর মধ্যে একটি পক্ষ মিসর এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মদদপুষ্ট লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের হাফতার বাহিনী এবং অন্য পক্ষ হলো জাতিসংঘের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত ত্রিপোলির সরকার।

আগের খবর
লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৫২ বাংলাদেশি, সঙ্গে নিহত ৩ কর্মীর মরদেহ
লিবিয়ায় বিমান হামলায় প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত, আহত ১৫

[প্রিয় পাঠক, আকাশযাত্রা প্রবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ কমিউনিটি ও সংগঠনের নানান খবর, ভ্রমণ, আনন্দ-বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। লেখা ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকনায়]

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!