জর্ডানপ্রবাসী আকলিমা দেশে ফিরে দেখলেন ৬ স্বজনের মৃত্যু

জর্ডানপ্রবাসী বাংলাদেশি নারী কর্মী আকলিমা খাতুন। দেশে ফিরে একে একে ছয় স্বজনের মৃত্যু দেখলেন। তিনি এখন পাগলপ্রায়।

রাজধানীর ভাসানটেকে গ্যাস থেকে লাগা আগুনে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে মারা গেছেন আকলিমার বাবা লিটন চৌধুরী (৫২), মা সূর্য বানু (৪০), বোন লিজা আক্তার ((১৮), ভাই সুজন (৯), বোন এবং লামিয়া (৭), নানি মহিরুন্নেছা (৭০)।

সবশেষ শনিবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছোট বোন লিজা আক্তারের (১৮) মৃত্যু হয়। উচ্চমাধ্যমিকের ছাত্রী লিজার আগে একমাত্র ভাই সুজনের (৯) মৃত্যু হয় গত ২৪ এপ্রিল।

Travelion – Mobile

এর আগে বাবা লিটন চৌধুরী, মা সূর্য বানু, বোন লামিয়া ও নানি মহিরুন্নেছা এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

আকলিমা খাতুন জর্ডানে ছিলেন। বাবা-মা, ভাই ও বোনের অগ্নিদগ্ধ হওয়ার খবর শুনে তিনি দেশে ফেরেন। শনিবার বোন লিজার মৃত্যুর সময় তিনি হাসপাতালেই ছিলেন।

আকলিমা খাতুনের চাচা সোহাগ মিয়া বলেন, ‘বাবা-মা, ভাই-বোনকে হারিয়ে আমার ভাতিজি পাগলপ্রায়। কোনো কথাবার্তা বলছে না সে।’

ভাষানটেকের একটি বাসায় ১২ এপ্রিল ভোরে কয়েল জ্বালাতে গেলে ঘরে জমে থাকা গ্যাসে আগুন ধরে যায়। পুলিশের ধারণা, গ্যাস সিলিন্ডারের লাইনের ছিদ্র থেকে গ্যাস বের হয়ে ঘরের মধ্যে জমে ছিল। মশার কয়েল জ্বালাতে গেলে সেই গ্যাসে আগুন লাগে।

সোহাগ মিয়া বলেন, তাঁর ভাই (লিটন) নামাজ পড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠেন। ছেলেমেয়েদের মশায় কামড়াতে দেখে তিনি কয়েল জ্বালানোর উদ্যোগ নেন। লাইটার জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে কক্ষে আগুন ধরে যায়। আগুনে দগ্ধ হয়ে একে একে সবাই মারা গেল।

তিন মেয়ে, এক ছেলের জনক লিটন চৌধুরীর বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইলে। তিনি পরিবার নিয়ে পশ্চিম ভাষানটেকের একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। লিটন চৌধুরী ওই এলাকায় আসবাবপত্রের ব্যবসা করতেন।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!