মালয়েশিয়ায় ঢা.বি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মেগা ইভেন্ট

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে ডুয়ামের মেগা ইভেন্ট। রোববার কুয়ালামপুরের ক্লাব আমানে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন মালয়েশিয়া (ডুয়াম) আয়োজিত মেগা ইভেন্টে আউটস্ট্যান্ডিং বাংলাদেশি শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী এবং পেশাজীবীদের সম্মান জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশিদের গৌরবগাথা অর্জনগুলো সবার কাছে তুলে ধরা।

এ আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ সায়েন্টিস্টসহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের প্রফেসরদের সম্মানিত করা হয়। এছাড়া মেধাবী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে তাদের সম্মানিত করা হয়। প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে যারা প্রফেশনালি নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাদেরও সম্মানিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান। অর্গানাইজিং কমিটির আহ্বায়ক সুরাইয়া ইয়াসমিন নাহারের স্বাগত বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়।

Travelion – Mobile

হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এমন একটি চমৎকার আয়োজনের জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত সবাইকে অভিনন্দন জানান এবং তাদের কাজ দ্বারা যেভাবে পজিটিভ বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করছেন তার ভূয়সী প্রসংশা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিপুণতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রবাসীদের একযোগে কাজ করতে হবে।

হাইকমিশনার আরো বলেন, ডুয়াম যখন আমাকে আমন্ত্রণ করে তখন আমি না করতে পারিনি। কারম আমিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি গর্বের জায়গা। এখানকার শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছে।

মালয়েশিয়ায় ঢা.বি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মেগা ইভেন্ট
মালয়েশিয়ায় ঢা.বি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মেগা ইভেন্ট

অর্গানাইজিং কমিটির পক্ষ থেকে সদস্য সচিব আলমগীর চৌধুরী আকাশ প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য ও অ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্তদের সিলেকশন প্রক্রিয়াসহ বিস্তারিত তুলে ধরেন।

ইভেন্ট অর্গানাইজিং কমিটির ক্রিয়েটিভ আর্টস অ্যান্ড ডিজাইন টিমের সদস্য আনিকা ইসলাম অর্পা এবং ইসমাত জাহান ঈশিতার প্রাণবন্ত সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে নতুন মাত্রা যোগ করে।

যেসব বাংলাদেশি শিক্ষা ও কমিউনিটির উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন অনুষ্ঠানে তাদের ৩ ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এক্সিলেন্স বাংলাদেশি একাডেমিশিয়ান হিসেবে বিভিন্ন বিশ্বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষকক, এক্সিলেন্স বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী হিসেবে ১৬ জন এবং এক্সিলেন্স বাংলাদেশি প্রফেশনাল হিসেবে ৩ জনকে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় সাংবাদিক আহমাদুল কবির, মোস্তফা ইমরান রাজু ও মোহাম্মদ আলীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সেন্টার ফর পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অব আইআইইউএম-এর ডিন প্রফেসর শাহরুল বিন নাঈম সাদিক, ইনস্টিটিউট অফ ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স-এর ডেপুটি ডিন প্রফেসর রোমজি বিন রোসমান, ইউনিভার্সিটি মালায়াসহ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির মালয়েশিয়ান লোকাল ডিন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাউন্সিলর কনস্যুলার মো. মোর্শেদ আলম, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ডিরেক্টর মাহবুব আলম শাহ। লায়ন হারুন-উর রশিদ ছাড়াও শ্রীলংকা, সিরিয়া, ইয়েমেন, ভারতসহ প্রায় ১০টি দেশের অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাইসা তাহসিন অহিয়া, মহুয়া, মো. মামুনুর রশিদ, কাজী শারমিন রহমান রুম্পা, মো. পলাশ হোসেন এবং মালয়েশিয়ান সঙ্গীতশিল্পী ফাতিহা। কবিতা আবৃত্তি করেন রাবাকা সুলতানা জেরিন, পহেলা বৈশাখের নাচে মোহাবিষ্ট করে রাখেন শুভ্রা এবং জাদু পরিবেশন করেন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়ার প্রফেসর ড. মোতাকাব্বির।

পুরো অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাফেল ড্র। সেখানে প্রথম পুরস্কার কুয়ালামপুর-টু-ঢাকা এয়ার টিকেট, দ্বিতীয় পুরস্কার কুয়ালালামপুর-টু-লাংকাউই এয়ার টিকেট, তৃতীয় পুরস্কার কুয়ালালামপুর-টু-পেনাং এয়ার টিকেটসহ মোট ১০টি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হয়।

সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!