লিবিয়া থেকে ফিরেছেন ১৫২ বাংলাদেশি, সঙ্গে নিহত ৩ কর্মীর মরদেহ

লিবিয়ায় জীবন ঝুঁকিতে থাকা ১৫২ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। তাদের সঙ্গে সম্প্রতি ড্রোন হামলায় নিহত তিন বাংলাদেশি কর্মীর মরদেহও এসেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) একটি চার্টার ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন। ১৫২ জনের মধ্যে ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করা ও ত্রিপোলিতে ড্রোন হামলায় মারাত্মকভাবে আহত ১০ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।

আইওএম-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)-এর সমন্বিত সহায়তায় এই বাংলাদেশিরা লিবিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন।

Travelion – Mobile

লিবিয়া সংকট শুরু হয় ২০১১ সালে। যেটি গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। যা এখনও চলছে। আর অনেক বাংলাদেশি অভিবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেখানে আছেন। এ রকম বিপজ্জনক পরিবেশে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরতে চাইছেন। এ প্রেক্ষাপটেই ১৫২ বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা তাদের সহযোগিতা করে দেশে ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছে। আইওএম এই অভিবাসীদের দেশে নিরাপদ ও সুষ্ঠুভাবে ফেরার জন্য বিমান ভাড়াসহ সবধরনের সহযোগিতা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে প্রত্যাবর্তনকারীদের স্বাস্থ্য সেবা, মনো-সামাজিক সহায়তা, খাদ্য এবং আগমন পরবর্তীকালে তথ্য দিয়েও সহায়তা করেছে আইওএম।

দেশের পথে রওনা হওয়ার আগে লিবিয়ার রাজধানি  ত্রিপোলিতে বাংলাদেশিরা।
দেশের পথে রওনা হওয়ার আগে লিবিয়ার রাজধানি ত্রিপোলিতে বাংলাদেশিরা।

এছাড়া প্রত্যেক প্রত্যাবর্তনকারীকে বিমানবন্দর থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য চার হাজার ৭০০ টাকা করে দিয়েছে সংস্থাটি। একইসঙ্গে আইওএম তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সহযোগিতা করেছে।

ফেরত আসা প্রত্যেক বাংলাদেশি এদেশে যাতে ব্যবসা কিংবা অন্যকিছু করে সামাজে পুনর্বাসিত হতে পারেন এর জন্য ১৪০০ ইউরো (প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার টাকা) দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে আইওএম বাংলাদেশের চিফ অব মিশন গিওরগি গিগাউরি বলেন, এই অভিবাসীরা লিবিয়ায় বিপজ্জনক অবস্থায় ছিলেন। দেশে ফিরতে ব্যাকুল ছিলেন। আমরা তাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবর্তন সমর্থন করেছি। তাদের সুরক্ষা এবং মর্যাদা নিশ্চিত করে বাংলাদেশে আসতে সহযোগিতা করেছি। আমরা মানবাধিকারের প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান রেখে তাদের সামাজিক, বেসামরিক বিমান চলাচলমানবিক ও আর্থিক সহযোগিতা করছি।

২০১৫ সাল থেকে এখন পর্যন্ত লিবিয়া থেকে ১,৪৭৫ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরে আসতে সহযোগিতা করেছে আইওএম। অন্যতম মূল কার্যক্রম হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর হাজার হাজার অভিবাসীকে জরুরি সহায়তা দিয়ে থাকে।

ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান জানান, নিহত যে তিনজনের লাশ এসেছে, তাঁরা গত ১৮ নভেম্বর ওয়াদি রাবিয়ায় ড্রোন হামলায় নিহত হন। ওই ঘটনায় ১০ জন আহত হন।

[প্রিয় পাঠক, আকাশযাত্রা প্রবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ কমিউনিটি ও সংগঠনের নানান খবর, ভ্রমণ, আনন্দ-বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। লেখা ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকনায়]

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!