শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে জাতীয় শোক দিবস পালিত

শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযথ মর্যাদা এবং ভাবগাম্ভীর্যের সাথে আজ শনিবার জাতীয় শোক দিবস এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতির কারণে জাতীয় শোক দিবসের এই আয়োজনে হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও তাদের পরিবারবর্গ এবং বেশকিছু শ্রীলঙ্কানসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিলেন।

সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধ-নমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর সমবেত সকলে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সবাই দাঁড়িয়ে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার হযরত আলী খান, প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর সৈয়দ মকছুমুল হাকীম, দূতাবাস কর্মকর্তা আবুল বাশার এবং রিজলা মজিদ। অতঃপর একজন বিদেশীর চোখে বঙ্গবন্ধু এবং অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ শিরোনামে আয়োজিত সেমিনারে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন শ্রীলঙ্কার তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি ট্রিভান আন্নাকারিজ, সায়োরি জয়াবর্ধনে, কাসুন আকালঙ্কা এবং বাংলাদেশের মারজিয়া রহমান। এতে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার।

Travelion – Mobile

জাতির পিতার শাহাদাত বার্ষিকী পালনের অংশ হিসেবে রাজধানী কলম্বো থেকে দূরবর্তী একটি প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত এতিমখানায় এতিমদের জন্য হাইকমিশন কর্তৃক আগামী কয়েকদিনের জন্য খাবার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।

আরও পড়তে পারেন : যদি রাত পোহালেই শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত ”বঙ্গবন্ধু: বজ্রে তোমার বাজে বাঁশি’, “চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু” এবং “অসমাপ্ত মহাকাব্য” প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর কবিতা পাঠের আসর আয়োজন করা হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন শৈমী সুলতানা শিমু, সাবিনা ইয়াসমিন, ইসরাত জাহান নূর, মৃন্ময় খান, মারজিয়া রহমান, ওমর শিফা, মুনজারিন রহমান ও তাসমিহা।

অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত এবং ১৫ আগস্টের শোকাবহ দিনে জাতির পিতাসহ নিহত পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন হাইকমিশনের কর্মকর্তা ওমর ফারুখ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!