দক্ষিণ কোরিয়ায় গভীর শ্রদ্ধায় জাতীয় শোক দিবস পালন

বিনম্র শ্রদ্ধা, যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২০ পালন করা হয় । কোভিড-১৯ মহামারী এবং কোরিয়ান সরকারের সামাজিক দূরত্ব কর্মসূচির কারণ সীমিত পরিসরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে কিছু সংখ্যক কোরিয়ান এবং প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাস প্রাঙ্গণে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে, জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন। এ সময়ে উপস্থিত সকলেই কালো ব্যাজ ধারণ করেন।

এরপরে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম উপস্থিত সকলকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সকল সদস্যবৃন্দের আত্মার শান্তি কামনা ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং শাহাদাত বরণকারীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

Travelion – Mobile

পরে পবিত্র ধর্মগ্রন্থসমূহ থেকে পাঠ ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যথাক্রমে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও ইউনেস্কো-এর মহাপরিচালকের প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

পরবর্তীতে জাতীয় শোক দিবসের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটি ব্যক্তিত্বরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাঁর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

আরও পড়তে পারেন : যদি রাত পোহালেই শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’

রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের শহীদ সকল সদস্যদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাঁর বক্তব্যে জাতির মুক্তি ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার বীরত্বপূর্ণ নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। সেই সাথে, স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই নব্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপক্ষে বিশ্ব সম্প্রদায়ের স্বীকৃতি আদায় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে তাঁর সাফল্য গাঁথার উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে চলেছে। তাঁর বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণেই সাম্প্রতিক করোনা মহামারী সত্ত্বেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সিউল দূতাবাসের নেওয়া বছরব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

এ উপলক্ষে পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী ও অবদানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় এবং কবিতা পাঠ পর্বের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শেষ হয়।

এ ছাড়া জাতীয় শোক দিবস ২০২০ উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে দক্ষিণ কোরিয়া অন্যতম শীর্ষ ইংরেজি দৈনিক পত্রিকা Korea Herald-এ জাতির বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!