মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশিসহ আটক ৫১
মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের অভিযানে বাংলাদেশিসহ ৫১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে। ২৭ মে রাতে মালয়েশিয়ার ক্লাং পাছার বেসার মেরু এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদের আটক করা হয়।
অভিযানে ৭০৪ জন অভিবাসীর কাগজপত্র পরিক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ৬৩৭ জন ইউএন কার্ডধারি রয়েছে এবং ৫১ জন অভিবাসীর কোন বৈধ কাগজপত্র না থাকায় তাদের আটক করা হয় ।
আটক ৫১ জনের মধ্যে মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং ভারতের নাগরিক রয়েছেন। তবে এ অভিযানে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন,এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তা জানা যায়নি। এ ছাড়া ইউএন কার্ডধারি যে ৬৩৭ জন রয়েছে তাদের আটক করা হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি।
অভিযানের সময় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদিন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব ওয়ান আহমেদ দাহলান বিন হাজি আব্দুল আজিজ ও অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল দাজাইমি বিন দাউদ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ইউএন শরণার্থী কার্ডের যথেচ্ছ বিধান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অভিযানে বেশ কয়েকজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের কাছে শরণার্থী কার্ড পাওয়ারপর, শরণার্থী শনাক্তকরণ কার্ড প্রদানের বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) এর কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন উঠে আসে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ জয়নুদ্দিন অভিযানের সময় সাংবাদিকদের বলেছেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত এনফোর্সমেন্ট অভিযানের সময় ইউএনএইচসিআর শরণার্থী কার্ড বেশ কয়েকজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের কাছে পাওয়া গেছে।
“যথেচ্ছাভাবে ইউএনএইচসিআর কীভাবে এই ধরনের কার্ড ইস্যু করতে পারে, যতক্ষণ না তারা তাদের অধিকারী তারা কোনোভাবে বৈধভাবে দেশে থাকতে পারবে।”
গত মাসে কেদাহের একটি অভিবাসন আটক কেন্দ্র থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর এখনও পলাতক ৬০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী গ্রেফতারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসন্ধান চালিয়ে যাবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন বলেছেন, ইমিগ্রেশন বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রচুর রোহিঙ্গা জনসংখ্যা আছে, যেমন পাইকারি বাজার।
২০ এপ্রিল মোট ৫২৮ জন রোহিঙ্গা শরণার্থী অস্থায়ী আটক ডিপো থেকে পালিয়ে যায়। তাদের মধ্যে সাতজন নিকটবর্তী হাইওয়ে পার হওয়ার সময় সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়।