ভারতে বাড়ছে করোনা-আক্রান্ত সংখ্যা, সবশেষ ২৮

ভারত জুড়ে প্রবল হচ্ছে করোনাভাইরাস আতঙ্ক। এর মধ্যেই দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ািয়েছে ২৮ জন। এর মধ্যে মধ্যে ১৬ জন ইতালি থেকে আসা পর্যটক। এই অবস্থায় এ বছর হোলির কোনও মিলন উত্‍‌সবে যোগ দেবেন না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।

বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন সিং এই খবর জানিয়েছেন। তিনি জানান, ইতালীয় পর্যটকের দলটি এ দেশে কোথায় কোথায় গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রণারয় সূত্রে জানিয়েছে, মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬ জন। কিন্তু বুধবার সকাল পর্যন্ত সেই সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮। এরমধ্যে ৩ জন কেরলের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। যাদের চিকিৎসার পর গত সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Travelion – Mobile

সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউরোপ থেকে ভারতে আসা ৪৫ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। এছাড়াও দুবাই থেকে ভারতে আসা ১ হায়দরাবাদের যুবকের দেহেও মিলেছে এই ভাইরাসের সংক্রমণ।

দিল্লিতে ৬ জনের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। অন্যদিকে, ভারতে আসা ১৫ জন ইতালিয়ান পর্যটকের শরীরে মিলেছে করোনাভাইরাস। তাদের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এইমস। তাঁদের আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সামনের সপ্তাহে ভারতে হোলির উত্‍‌সব। তবে যেভাবে আচমকাই ভারতে হানা দিয়েছে করোনাভাইরাস, তাতে আতঙ্ক বেড়েছে। পরপর আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে দেশটির বিভিন্ন জায়গা থেকে। দিল্লি ও তেলেঙ্গানার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে করোনার উপসর্গের খবর আসা শুরু হয়েছে।

বুধবার টুইট করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, “নোভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে গোটা বিশ্বের বিশেষজ্ঞরা জনসমাগম কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। সেই কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এ বছর আমি কোনো হোলি মিলন অনুষ্ঠানে অংশ নেবো না।”

এই টুইটের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই আতঙ্ক না-করে দেশবাসীকে নিজের সুরক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।

প্রসঙ্গত,করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ৯০ হাজার ৪৪১ জন। শুধু চীনেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ১৫১ জন। অন্যান্য দেশগুলিতে ১০ হাজার ২৯০ জন সংক্রামিত রোগী মিলেছে।

বুধবার পর্যন্ত, ৩ হাজার ১১৯ জন মারা গেছেন। শুধু চীনেই মৃত ২ হাজার ৯৪৪ জন।

বিবিসি জানাচ্ছে, চীনের বাইরে মারা গেছেন ১৭৫ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে ইরানে। এখানে ৬৬ জন মারা গিয়েছেন। ইতালিতে ৫২, দক্ষিণ কোরিয়ায় ২৮, জাপান ৬ জন মৃত।

আল জাজিরা জানাচ্ছে, জাপানের উপকূলে সেই ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে ৭ জন মারা দিয়েছেন। চীনের স্বশাসিত এলাকা হংকংয়ে ২ জন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রো ৬, ফ্রান্সে ৩, ফিলিপাইন্স, থাইল্যান্ড, সান ম্যারিনো, অস্ট্রেলিয়া ও তাইওয়ানে একজন করে মৃত। আক্রান্তদের মধ্যে ৭ হাজার ৯৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!