বালি দ্বীপে পর্যটকদের মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ হচ্ছে

ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন অঞ্চল বালি। নানান দেশের পর্যটকেরা যান ঘুরতে। সেখানে অন্যতম জনপ্রিয় মোটরসাইকেল ভাড়ায় নিয়ে ঘোরা। উন্নত গণপরিবহনব্যবস্থা না থাকায় বালিতে বিদেশি পর্যটকেরা প্রায়ই দ্বীপের চারপাশে ঘুরতে মোটরসাইকেল ভাড়া করেন।

এবার সে সুযোগ আর থাকছে না। মোটরসাইকেল ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ট্রাফিক আইন ভঙ্গসহ নানা অভিযোগের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।

বালির গভর্নর আই ওয়াইন কোস্তের বলেছেন, ‘শার্ট বা কাপড় ছাড়া খালি গায়ে আপনার মোটরবাইক চালিয়ে গোটা দ্বীপ ঘোরা উচিত নয়। হেলমেট ছাড়া ঘোরা ঠিক নয়। এমনকি অনেকে লাইসেন্স ছাড়াই বাইক চালান। এটাও ঠিক নয়।’

Travelion – Mobile

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে পর্যটক কমে গেছে বালিতে। এমন অবস্থায় মোটরসাইকেল চালানো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। কেউ এটা সমর্থন করছেন তো কেউ বলছেন, এতে আরও কমবে পর্যটক। তবে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘোরা বন্ধ হচ্ছে—এটা ভেবে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, পর্যটকেরা এখন থেকে ট্রাভেল এজেন্সি থেকে সরবরাহ করা মোটরবাইক চালাতে পারবেন।

উন্নত গণপরিবহন না থাকায় বালিতে বিদেশি পর্যটকেরা প্রায়ই দ্বীপের চারপাশে ঘুরতে মোটরবাইক ভাড়া করেন। সহজেই মেলে দুই চাকার গাড়িগুলো। পর্যটকেরাও সহজেই অলিগলির মধ্যে প্রবেশ করে পুরো দ্বীপ ঘুরতে পারেন সহজে। এ জন্য অনেক পর্যটক বাইক ব্যবহার করেন। আর মোটরসাইকেল চালাতে গিয়ে এ বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ১৭১ জন পর্যটক ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ছাড়া অনেকে ভুয়া নম্বর প্লেট ব্যবহার করেছে।

একজন ইউক্রেনের পর্যটক বলেন, ‘পর্যটকদের ঘুরতে স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এ ছাড়া তাঁদের বৈধ লাইসেন্স প্রদান করা উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো ট্রাভেল এজেন্টের সেবা ব্যবহার করি না, কারণ আমরা স্বাধীন হতে চাই এবং নিজেরা কিছু করতে চাই যাতে আমরা পরিবেশ অনুভব করতে পারি।’

বালি প্রশাসনের এ উদ্যোগের দ্বিমত পোষণ করছেন স্থানীয় মোটরবাইক ভাড়া সমিতির প্রধান দেদেক ওয়ারাজারা। তিনি বলেন, মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ না করে বরং সুনির্দিষ্ট বিষয়ে আইন করা উচিত।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!