বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় মরিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট

গত ২৬ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদা আর ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় মরিশাসপ্রবাসী বাংলাদেশিরা উদযাপন করে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস । আর এ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত সংবর্ধনায় দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রামাসিভাম পিলে ভায়াপুরী জিওএসকের যোগদান বাংলাদেশ কমিউনিটির মাঝে আনন্দ বয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়ের সঙ্গে মিল রেখে স্থানীয় সময় সকাল ৬ টায় রাজধানী পোর্ট লুইসে বাংলাদেশ হাইকমিশনে চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলননের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এসময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিশু-কিশোর সমাবেশে গাওয়া জাতীয় সংগীতের সঙ্গে সমন্বয় করে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও সবাইকে নিয়ে শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। পরে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পড়া হয়। মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তিন শতাধিক প্রবাসীবাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় মরিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট 1
শুদ্ধস্বরে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা

Travelion – Mobile

সন্ধ্যায় রাজধানীর বালাক্লাবায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্টে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন মারিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট প্রামাসিভাম পিলে ভায়াপুরী জিওএসকে। বিশেষ অতিথি ছিলেন দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী নন্দকুমার বোদা।

জাতীয় সংগীত বাজানো হচ্ছে
অনুষ্ঠানের শুরুতে মরিশাসের রাষ্ট্রাচার অনুযায়ী প্রথমে মারিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের মঙ্গল কামনায় টোস্ট করেন। এ সময় বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর বাংলাদেশের হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদ মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও জনগণের মঙ্গল কামনায় টোস্ট করেন। এ সময় মরিশাসের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। এরপর স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে কেক কাটেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। সাথে ছিলেন মরিশাসের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশ হাইকমিশনার।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সংবর্ধনায় মরিশাসের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট 2
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন রেজিনা আহমেদ

অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ওপর প্রামাণ্যচিত্র দেখে মুগ্ধ হন অতিথিরা। নতুনরূপের বাংলাদেশকে দেখে তার মোহিত হন।

সংবর্ধনা বক্তব্যে বাংলাদেশের স্থপতি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেও শহীদের বিন¤্র শ্রদ্ধা জানান বাংলাদেশের হাইকমিশনার। তিনি বিগত এক দশকে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তুলে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ভিশন ২০২১ ও ভিশন ২০৪১-এর উদ্দেশ্যগুলো তুলে ধরেন। তিনি সরকারের উন্নয়নের অভিযাত্রায় সম্পৃক্ত দেশি-বিদেশি সবার সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

হাইকমিশনার রেজিনা আহমেদের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশটির সংসদ সদস্য, মিশনপ্রধান ও মিশনের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধান, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন। ক বাংলাদেশি ও মরিশাসের ঐতিহ্যবাহী খাবার আপ্যায়িত করা হয় অতিথিদের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!