মালয়েশিয়ায় দূর্লভ পিএইচডি অ্যাওয়ার্ড পেলেন বাংলাদেশি মো. আসলাম

‘পিএইচডি ক্যান্ডিডেট উইথ হাইয়েস্ট ইমপ্যাক্ট পাবলিকেশন্স’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশি মো. আসলাম মিয়া। মালয়েশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিভার্সিটি মালায়া (ইউএম) থেকে ‘ডেভেলপমেন্ট ট্র্যাকে’ গবেষণা ও প্রকাশনায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ৫৮০ জন পিএইচডি প্রার্থীদের থেকে তাঁকে নির্বাচিত করা হয় এই সম্মানিত পুরস্কারের জন্য।

পিএইচডি স্নাতকদেরকে মধ্য থেকে যারা অত্যন্ত পরিচিত আন্তর্জাতিক সমীক্ষা-পর্যালোচনা জার্নালগুলিতে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করে থাকেন তাদেরকে মালায়া বিশ্ববিদ্যালয় এই সম্মানে ভূষিত করে থাকে। কিউএস ২০১৯ র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী মালায়া বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ায় ১৯ এবং বিশ্বে ৮৭তম অবস্থানে রয়েছে।

ড. মো. আসলাম মিয়া
Travelion – Mobile

এ ছাড়াও তিনি মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনটি ক্যাটাগরিতে “বেস্ট স্টুডেন্ট এওয়ার্ড” লাভ করেন। ব্যাচেলরে উল্লেখযোগ্য অর্জনের জন্য মালায়া বিশ্ববিদ্যালয় তাকে ফুল স্কলারশিপসহ সরাসরি পিএইচডিতে যোগদানের অফার করেন। এভাবেই তিনি তাঁর সহকর্মীদের মধ্যে খুব অল্প বয়সেই একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ হয়ে ওঠেন। উল্লেখ্য, ড. আসলাম মানিকছাক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে মাধ্যমিক এবং ২০০৮ সালে বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ রেজাল্ট জিপিএ ৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

মালয়েশিয়া বাংলাদেশসহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে অর্থনৈতিক বিভিন্ন ইস্যুর ওপর তাঁর ২৫টির উপরে গবেষণা প্রবন্ধ ছাপা হয়েছে। এ সময়ে তিনি জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীন, হংকং, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, শ্রীলঙ্কা এবং ফিলিপাইন ভ্রমণ করেছেন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তার গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।

বগুড়া জেলার সদর উপজেলার গোবর্ধনপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী এবং মোসাম্মাৎ ঝর্ণা বেগম ছেলে মো. আসলাম মিয়া বর্তমানে ইউনিভার্সিটি সাইন্স মালয়েশিয়া (ইউএসএম) এর স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

ড. আসলাম মিয়ার এই সাফল্যর পেছনে আছে মা-বাবার সাথে স্ত্রী জান্নাতুন নূর কণার অনুপ্রেরণা ও সাহস

একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি স্বপ্ন দেখেন শুধু অর্থনৈতিক সূচকগুলির ক্ষেত্রেই নয় বরং সামাজিক ও নৈতিক মূল্যবোধের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ উন্নত জাতি হিসেবে এগিয়ে যাবে।

[প্রিয় পাঠক, আকাশযাত্রা প্রবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ কমিউনিটির নানান খবর, সংগঠনের খবর, ভ্রমণ, আড্ডা,আনন্দ-বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি, দেশের স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। লেখা ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়।]

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!