নিরাপত্তার স্বার্থে উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বদলাতে হবে ইন্ডিগোকে

ভারতীয় সিভিল এভিয়েশনের কড়া নির্দেশ

ভারতের স্বল্প খরচের (লাে-কস্ট) বিমানসংস্থা ইন্ডিগোর যে সব এয়ারবাস উড়োজাহাজে প্রিট অ্যান্ড হুইটনি ইঞ্জিন আছে, যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থে দ্রুত বদলাতে হবে। এ জন্য আগামী পনেরো দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এই নিদর্শনা দেশটির বেসামরিক বিমান পরিবহন সংস্থা ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশন-ডিজিসিএ’র ।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা উল্লেখ করে তাদের এই নির্দেশ দেয় ডিজিসিএ। ২০১৬ সাল থেকে বিভিন্ন সময়ে এই ইঞ্জিনে সমস্যার কারণেই উড়োজাহাজে বসিয়ে রাখতে হয়েছে ইন্ডিগোকে।

আমেরিকান মহাকাশযান প্রস্তুতকারক প্রাট অ্যান্ড হুইটনি ইঞ্জিনগুলি সামারিক ও বেসামরিক (বিশেষত বিমান সংস্থা) উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

Travelion – Mobile

এয়ারবাসের এ৩২০নিও উড়োজাহাজ এবং প্রাট অ্যান্ড হুইটনি ইঞ্জিনের সবচেয়ে বড় খদ্দের হল ইন্ডিগো। ২০১৬ সালে প্রাট অ্যান্ড হুইটনির জ্বালানিবান্ধব ইঞ্জিন কেনে ইন্ডিগো। তারপর থেকে ইঞ্জিনের নানা সমস্যায় বার বার এয়ারবাস বসিয়ে রাখতে হয়েছে ইন্ডিগোকে।

ডিজিসিএ দেখেছে, শুধু এ বছর অক্টোবর মাসেই তিনবার বন্ধ হয়ে গেছে ইন-ফ্লাইট ইঞ্জিন। তখন তারা নিরাপত্তা সংক্রান্ত পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই তাদের এই সিদ্ধান্ত।

ইন্ডিগোর উড়োজাহাজগুলোতে প্রাট অ্যান্ড হুইটনি ১১০০ সিরিজের ইঞ্জিন লাগানো রয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ২৯০০ ঘণ্টা উড়ানের পরে অন্তত একটি ইঞ্জিন বদল করতে হয় বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে ডিজিসিএ।

বিমানের ইঞ্জিনে সমস্যার কথা জেনে গত বছরই এ৩২০নিও এয়ারবাসগুলির ইঞ্জিন পরীক্ষা করে দেখার জন্য ইন্ডিগোকে নির্দেশ দিয়েছিল ডিজিসিএ। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা নতুন করে এই নির্দেশ দিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বিশাল অঙ্ক খরচ হয়ে যাওয়ায় গত ত্রৈমাসিকে ইন্ডিগোর যা লোকসান হয়েছে, আগে কোনও দিন তাদের তা হয়নি। বিপুল লোকসানের পরেই ডিজিসিএর এই কড়া নির্দেশে চিন্তায় পড়েছে ইন্ডিগো।

ইন্ডিগো এই শর্ত পূরণ করার পরে শীর্ঘই পরবর্তী পদক্ষেপ তারা ঘোষণা করবে বলে বিবৃতিতে জানিয়ে দিয়েছে ডিজিসিএ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!