লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরির পদত্যাগ
'দেশের চেয়ে বড় কেউ নেই'
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ১৩ তম দিনের মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি। লেবাননের শীর্ষ দৈনিক ডেইলি স্টারের অনলাইনে এ খবর দিয়েছে।
বিকেলে রাজধানী বৈরুতের বাবদা প্রাসাদে (রাষ্ট্রপতি ভবন) লেবাননের রাষ্ট্রপতি মিশেল আউন ২০১৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী সাদ হরিরির পদত্যাগপত্র গ্রহন করেছেন।
হরিরির পদত্যাগের অর্থ হ’ল পুরো মন্ত্রিসভা পদত্যাগ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে, সূচনা হল একটি নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী হরিরি তাঁর ডাউনটাউন বাসভবন থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, “লেবাননের রাস্তায় নেমে আসা জনগণের প্রতিক্রিয়ার জবাবে আমি এই সরকারের পদত্যাগ জমা দিতে বাবদা প্রাসাদে (রাষ্ট্রপতি ভবন) যাচ্ছি।”
“রাজনৈতিক ক্ষেত্রের সমস্ত অংশীদারদের কাছে, আজ আমাদের দায়িত্ব কীভাবে লেবাননকে রক্ষা করা এবং অর্থনীতির উন্নতি করা যায়। এমন একটি ভালর সুযোগ রয়েছে যা হারা উচিত নয় এবং আমি রাষ্ট্রপতি এবং লেবাননের সকলের পদত্যাগের পদত্যাগ রেখেছি।”
সাদ বলেন ‘গ্রহণের জন্য আমি আমার পদত্যাগ রাখছি মহামান্য রাষ্ট্রপতির এবং লেবাননের সকল জনগণের কাছে।’
‘পদমর্যাদা আসে এবং যায়। কিন্তু দেশের মর্যাদা ও সুরক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। দেশের চেয়ে বড় কেউ নেই’,হরিরি বলেছিলেন।
গত সপ্তাহে বিক্ষোভ চলাকালীন সরকার প্রধান সাদ হারিরি একাধিক অর্থনৈতিক সংস্কার এবং দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপের ঘোষণা করেছিলেন। তবে পর্যাপ্ত নয় বলে প্রত্যাখান করে বিক্ষােভে নামা লেবানিজ জনগণ এবং রাস্তায়ই থেকে যায়। অথচ তখন বিক্ষোভকারীদের পক্ষে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভায় বিরোধীরা ৪৯ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করেন।
এদিকে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রায় দুই সপ্তাহ বিক্ষোভের জবাবে লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দেশটির সঙ্কটকে আরও মারাত্মক করে তুলবে।
প্যারিসে পার্লামেন্টে জিন-ওয়েভস লে ড্রিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী (সাদ) হরিরি সবে পদত্যাগ করেছেন, যা সঙ্কটকে আরও মারাত্মক করে তুলেছে। ”
সাদ হারিরি লেবালনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রফিক হারিরির দ্বিতীয় পুত্র, যিনি ২০০৫ সালে গুপ্তহত্যার স্বীকার হন।