নিউইয়র্কে বঙ্গমাতার ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
’সংগ্রাম-স্বাধীনতা, প্রেরণায় বঙ্গমাতা’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করে।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) কনস্যুলেটে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানের শুরুতে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পড়ে শোনোনো হয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়।
দিবসের আলোচনা বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গমাতার প্রেরণা ও বহুমাত্রিক অবদান তুলে ধরেন।
গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গমাতার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা ও দূরদৃষ্টি এবং বাঙালীর সূদীর্ঘ স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর শক্তি, সাহস ও প্রেরণা যোগানোর ইতিহাস তুলে ধরেন কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
তিন বলেন, বঙ্গমাতার আদর্শ ও চেতনা, ত্যাগ ও সংগ্রাম, ধৈর্য্য, সহনশীলতা, দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতি ভালবাসা ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে’। সকলের জন্য বিশেষ করে নারীদের জন্য এক অবিরাম অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন তিনি।”
অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারাও বক্তব্য রাখেন।
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের অন্যান্য শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ