গ্রিসে ছাত্রলীগের বিনম্র স্মরণে ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা’
গ্রিসে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আলোচনা সভা করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
৩১ আগস্ট সন্ধায় রাজধানী এথেন্সের গ্রাম বাংলা রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বন,পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আলহাজ্ব মো. শাহাব উদ্দিন এমপি।
গ্রিস ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুমিন খানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব মাতুব্বরের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. রাজিব আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন গ্রিসের সভাপতি হাজী আব্দুল কুদ্দুস, গ্রিস আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. রকিব মির্ধা, গ্রিস আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক বর্তমান সদস্য সচিব বাচ্চু বেপারী, গ্রিস আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোশারফ হোসেন লিয়াকত, আলমগীর হোসেন তালুকদার, ওরুস আলী।
আরও পড়তে পারেন : গ্রিসে বাংলাদেশি নারীকে হত্যার লোমহর্ষক জবানবন্দি ঘাতকের
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, গ্রিস আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান রহিম, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মৌসুমী পারভীন, গ্রিস আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ, সদস্য ও দোয়েল সংগঠনের সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা, প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক বকুল আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা ফজলু মিয়া, রফেজ সরদার, যুবলীগ নেতা জুয়েল মাতব্বর, আসাদ মাহিন প্রমুখ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন গ্রিস ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজীব বেপারী, ছাত্রলীগ নেতা মো. শামীম আহমেদ, মো. মাসেব আহমেদ, তোফায়েল আহমেদ রনি, কামরুল ইসলাম, মো. তারেক আহমেদ, সাগর আহমেদ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ছিল মূলত একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধ,স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতাকারীদের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের ফল। জাতির পিতার রক্তঋণ শোধ করার তাগিদেই ষড়যন্ত্রকারীর মুখোশ উন্মোচন হওয়া দরকার।
তারা দেশ বিরোধীদের সকল প্রকার ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দেশ ও জনগণের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য প্রবাসী আওয়ামী পরিবারের প্রতি আহবান জানান।
আরও পড়তে পারেন : গ্রিসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশি মৃত্যু স্ট্রোকে
আলোচনায় বক্তারা, মহীয়সী নারী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বঙ্গমাতা শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙ্গালির মুক্তিসংগ্রামের ও তিনি ছিলেন অন্যতম অগ্রদূত। ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি সীমাহীন সাহস ও ধৈর্য্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন। নিজের দুই সন্তানকে মুক্তিযুদ্ধে পাঠিয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।