কুয়েতে বেতন কর্তন ও চাকরিচ্যূতিতে আবাসন ব্যবসায় ধ্বস!

কুয়েতে চাকরিচ্যূতি আর বেতন হ্রাসের ঘটনায় প্রভাব পড়েছে দেশটির আবাসন ব্যবসায়ে। বহুল বিনিয়োগ হওয়া আবাসিক স্থাপনাগুলোতে দাম ২০% থেকে ৩৫% পর্যন্ত কমে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর দেশত্যাগের কারণে কোন কোন এলাকায় বাসিন্দা কমে গেছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত।

কুয়েত টাইমস জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক কোম্পানিতে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক বিদেশি তাদের কাজ হারাবে এবং অনেককেই চাকরিচ্যূত করা হবে যাদের একটি বড় অংশ কুয়েত ছেড়ে যাবে। এতে চাহিদার তুলনায় বেশি অ্যাপার্টমেন্ট পড়ে থাকবে যেটি এসবের ভাড়ার মূল্যের হিসেব-নিকেশ পাল্টে দিবে।

বেতন কমানোর কারণে ভাড়াটিয়ারা কম দামে অ্যাপার্টমেন্ট খুঁজে নিতে বাধ্য হবে উচ্চ ভাড়ার বড় অ্যাপার্টমেন্টগুলোর চাহিদা কমিয়ে দিবে। তাই বাড়িওয়ালারা তাদের ভাড়াটিয়া ধরে রাখতে ভাড়া কমাতে বাধ্য হবে যেখানে কিছু কিছু কোম্পানি অ্যাপার্টমেন্ট খালি হয়ে যাবে এই আশংকায় ভাড়াটিয়াদের এক থেকে দুই মাস বিনামূল্যে থাকার সুবিধা প্রদান করা শুরু করেছে।

Travelion – Mobile

সূত্রগুলো উল্লেখ করেছে যে বেতন কর্তনের কারণে আবাসন খাতে প্রথম আঘাতটি পড়বে। বিশেষ করে অ্যাপার্টমেন্টগুলো ভাড়া নেয়ার ক্ষেত্রে বিদেশিদের দেশত্যাগ আবাসন কোম্পানিগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। তাই আবাসন কোম্পানিগুলোর এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের একটি নির্দিষ্ট সময়কাল জানাটা জরুরি যার উপর ভিত্তি করে তারা মূল্য এবং পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসার বিষয়টি অনুমান করে ব্যবসায় এগিয়ে নিতে পারবে।

কুয়েত টাইমস আশঙ্কা করেছে, বিচ্ছিন্ন থাকা এলাকাগুলোতে যেসব আবাসিক স্থাপনা রয়েছে সেগুলোতে আশঙ্কাজনক হারে বাসিন্দা কমে আসবে। সূত্র জানায়, বেশ কিছু কারণে এসব এলাকা খারি হয়ে যাবে।

এরমধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল, এই অঞ্চলগুলোতে অনেক প্রাথমিক পর্যায়ের বা অস্থায়ী প্রবাসি কর্মীর বসবাস যারা নিকট ভবিষ্যতে দেশ ছাড়তে বাধ্য হবে। এছাড়াও ভিসা ব্যবসায়ীদের উপর কঠোর ব্যবস্থা নিশ্চিত ও তাদের ফাইল প্রসিকিউশনের কাছে স্থানান্তর করলে বিপুল পরিমাণ প্রবাসিকে কুয়েত ছেড়ে তাদের নিজ দেশে পাড়ি জমাতে হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!