ওমানে বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা শুরু, প্রবাসীদের সুযোগ নেওয়ার আহবান

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষা শুরু হয়েছে। দেশটির ওমানের সকল সরকারি হাসপাতাল ও এলাকাভিত্তিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলো একেবারে বিনামূল্য করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এর মধ্যে করোনা মহামারীর কেন্দ্রবিন্দু মাস্কাটের মাতরাহ শহরের জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এখানে প্রতিষ্ঠিত চারটি পরীক্ষাকেন্দ্রে এই পরীক্ষা করানো হচ্ছে। লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শনিবার কেন্দ্রগুলোতে বিপুল সংখ্যক ওমানি ও প্রবাসীকে করোনা পরীক্ষা করতে দেখা গেছে। প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত এইসব কেন্দ্রে কোভিড -১৯ (করেনাভাইরাস) পরীক্ষা চলবে ।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওমানি ও প্রবাসীদের দ্রুত কেন্দ্রে গিয়ে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। করােনা পরীক্ষার প্রবাসী ও চিকিত্সা দলের মধ্যে সমন্বয়ে সহায়তা করার জন্য মাতরাহ এবং তার আশেপাশে বসবাসরত স্বেচ্ছাসেবক এবং দোভাষীদের (পুরুষ ও মহিলা) এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

Travelion – Mobile

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ প্রতিবেদন অনুয়ায়ী ওমানে করেনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন
১০৯ জন এবং একজন প্রবাসীসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের সবাই রাজধানী মাস্কাটের বাসিন্দা।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, করোনোভাইরাস থেকে সতর্কতা সংকেত এখন বেশি, প্রতিদিন আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলা হচ্ছে প্রবাসীদের মধ্যে এই ভাইরাস আশংখাজনকভাবে ছড়াচ্ছে।

ওমানে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশিদের বিলম্ব না করে অতিসত্বর ওমান সরকারের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী হেলথ সেন্টারে গিয়ে করোনা পরীক্ষা করার আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস ও বাংলাদেশি কমিউনিটি।

ওমান সরকার বৈধ-অবৈধ সকল প্রবাসীর জন্য বিনামূল্যে এই করোনা-পরীক্ষা ও চিকিৎসার সুযোগ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে আইডি বা পতাকাবিহীন প্রবাসীদের বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে নিশ্চিত করেছে ওমান সরকার।

ওমানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম সরওয়ার সকল প্রবাসীদের করােনা পরীক্ষায় আহবান জানিয়ে বলেন, “করোনাভাইরাস পরীক্ষা এবং চিকিৎসা সম্পুর্ণ বিনামূল্যে করে দিয়েছেন ওমানের মহামান্য সুলতান ৷ কাজেই এই সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করে নিজেকে, কমিউনিটিকে এবং নিজের প্রবাসকে সুরক্ষা করা সকল প্রবাসীর একান্ত দায়িত্ব।”

কমিউনিটি নেতারা বলেন,”করোনায় আক্রান্ত হওয়া লজ্জার কিছু নয় দয়া করে গোপন করতে যাবেন না। সঠিক সময়ে চিকিৎসা নিলে সুস্থ হবার সম্ভাবনা খুব বেশি অন্যথায় নিজের সংক্রমিত হয়ে কমিউনিটিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবেন।”

মঙ্গলবার ওমানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কঠোর সতর্কতা জারি করেছিলেন যে, ওমানে মহামারীটির শিখর পৌঁছাতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ দূরে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ শোতে পৌঁছতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেছিলেন যে, “বিপুল সংখ্যক প্রবাসীও আক্রান্ত হচ্ছেন, এটি উদ্বেগের কারণ।”

স্বাস্থ্য সচিব নিয়োগকর্তাদের তাদের কর্মীদের দেখাশোনা করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, “প্রবাসী শ্রমিকরা একটি সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং নিয়োগকারীদের উচিত তাদের অনুসরণ করা, সতর্ক করা, নির্দেশনা দেওয়া এবং আবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ সরবরাহ করে তাদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া।”

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!