ওমানে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উদ্যোগে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন
ওমানে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী [সা. উপলক্ষে বাংলাদেশ সোশ্যাল ক্লাবের উদ্যোগে মিলাদ মহফিলের আয়োজন করা হয়।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানী মাস্কাটে রূই আল মাসা হলে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম এন আমিনের সঞ্চালনায় মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল হক।
হাফেজ ক্বারী আবদুল রহিমের পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া মাহফিলে নাথে রসুল ও গজল পরিবেশন করেন মোহাম্মদ ওসমান ও মুজাহিদ বিন আলী।
বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মহসীন আলী সরকার,যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল বশর সরকার ও আবদুল রহিম। ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মাওলানা আবদুল ছালাম আল কদরী মিলাদুন্নবী [সা.] এর তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন গাল্ফ ওভারসিজ এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইফতেখার উল হাসান চৌধুরী।
বক্তারা বলেন, ১২ রবিউল আউয়ালে পবিত্র এই দিনে আরবের মরু প্রান্তরে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং ৬৩ বছর বয়সে এই দিনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। সারা বিশ্বের মুসলমানরা এই দিনকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) হিসেবে পালন করেন।
তারা বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে এসেছিলেন তাওহিদের মহান বাণী নিয়ে। প্রচার করেছেন শান্তির ধর্ম ইসলাম। তাঁর আবির্ভাব এবং ইসলামের শান্তির বাণীর প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করে। আরব সমাজ যখন পৌত্তলিকতার অন্ধকারে ডুবে ছিল, তখন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কে সারা বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ।
সভাপতি সিরাজুল হক বলেন, ৪০ বছর বয়সে নবুয়ত লাভ করেন মহানবী (সা.)। বিশ্ববাসীকে তিনি মুক্তি ও শান্তির পথে আসার আহ্বান জানান। সব ধরনের কুসংস্কার, গোঁড়ামি, অন্যায়, অবিচার ও দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে মানবসত্তার চিরমুক্তির বার্তা বহন করে এনেছিলেন তিনি। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দীর্ঘ ২৩ বছর এই বার্তা প্রচার করেন।
মাহফিলে মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা আবদুল ছালাম আল কাদরী।
ওমানের আরও খবর
ওমানে ঘূর্ণিঝড়ে বিধবস্ত সড়ক ২ বছরের মধ্যে পুনরুদ্ধার হবে
ওমানে দশ মাসে ২৪৮ জন প্রবাসী পেয়েছেন নাগরিকত্ব
ওমানে বুস্টার ডোজ এবং শিশুদের টিকা অনুমোদন
ওমানের পরিবেশ-প্রকৃতিতে মুগ্ধ সিএনএন উপস্থাপিকা
ডিসেম্বরে মাস্কাটে শ্রীলঙ্কান ইয়োহানির লাইভ পারফর্ম