আটকেপড়া ৮৮১ জনকে দেশে ফেরাল ইউএস-বাংলা

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও বিমান চলাচল বন্ধের সঙ্গে লকডাউনের কারণে দুই দেশ থেকে আটকাপড়া ৮৮১ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে ভরাতের চেন্নাই থেকে ৮৩৩ জন এবং থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ৪৮ জন বাংলাদেশি রয়েছেন।

গত একমাসের অধিক সময় কলকাতা, চেন্নাইসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল আর থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসা ও জরুরী কাজে গিয়ে জন্য আটকে পড়েন শত শত বাংলাদেশি। ১৭ মার্চ থেকে আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে কোনোভাবেই বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসতে পারছিলো না। এই অবস্থায় দূতাবাস আর বাংলাদেশিদের সহযোগিতার হাত বাড়ায় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

গত ১৭ এপ্রিল থেকে করোনাভাইরাসে পরিস্থিতে বিভিন্ন দেশে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রথমদিনে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া এবং পর্যটক হিসেবে আটকে পড়া ৪৮ জন বাংলাদেশি ও একজন বাংলাদেশির মরদেহ নিয়ে আসে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট।

Travelion – Mobile

ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ দূতাবাস । দূতাবাসের অনুরোধ সাড়া দেয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। ২০ এপ্রিল থেকে চেন্নাই থেকে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে দেশের শীর্ষ বেসরকারি বিমানসংস্থাটি। ৫ দিনে ৮৩৩ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়।

ব্যাংকক থেকে আটকা পড়া ৪৮ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট
ব্যাংকক থেকে আটকা পড়া ৪৮ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইট

শনিবার (২৫ এ্রপ্রিল) পঞ্চম ধাপে সবশেষ ফ্লাইটে পাঁচ শিশুসহ মোট ১৬৬ জন আটকে পড়া বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয়। এদের নিয়ে দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে ইউএস-বাংলার বিশেষ ফ্লাইটটি।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, যারা ফিরেছেন তাদের সবার করোনা পরীক্ষা করানো হয়েছে। হজ ক্যাম্পে স্ক্রিনিংয়ের পর তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক বা হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

বিমান সংস্থাটির মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম আকাশযাত্রাকে বলেন,”১৬৪ আসনের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজা দিয়ে বিশেষ ফ্লাইটগুলো পরিচালিত হয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশিদেরাই ফিরিয়ে আনা হয়েছে এই সব বিশেষ ফ্লাইটে।”

এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে দেশের আমদানী-রপ্তানীকে সচল রাখার জন্য সরকারের অনুমতি পেয়ে কার্গো পরিবহন শুরু করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

ইউএস-বাংলার চারটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এয়ারক্রাফট দিয়ে আপদকালীন সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিশেষ করে মহামারী করোনাভাইরাসের সময়কালীন স্বাস্থ্যসেবাকে সচল রাখার জন্য চিকিৎসকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসামগ্রী পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হ্যান্ড গ্লোভস, মাস্কসহ নানাবিধ পন্য আমদানী করা হবে। এছাড়া জরুরী রপ্তানী পন্য সামগ্রী বিশেষ করে গার্মেন্টস পন্য, পচনশীল দ্রব্য শাক-সবজি ইত্যাদি বিদেশে রপ্তানীতে ভুমিকা রাখতে পারবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!