আজ কাঠগড়ায় উঠছেন সু চি, মিয়ানমারকে বয়কটের ডাক

রোহিঙ্গা গণহত্যার নিয়ে গাম্বিয়ার দায়ের করা মামলায় আজ বুধবার আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিজে) কাঠগড়ায় উঠছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেতা অং সান সু চি।

শুনানিতে গাম্বিয়ার উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ নিজের বক্তব্য তুলে ধরবেন সু চি।

গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয় রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) শুনানি ।

Travelion – Mobile

ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সমর্থনে গাম্বিয়া আইসিজেতে ওই মামলাটি করেছে। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং রাখাইনে গণহত্যার আলামত নষ্টের বিভিন্ন উপাদান উল্লেখ করে গাম্বিয়ার করা অন্তর্বর্তী পদক্ষেপের নির্দেশনার বিষয়ে তিন দিনের এ শুনানি হচ্ছে।

দ্য হেগের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, রোহিঙ্গা ও মানবাধিকার সংগঠনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুনানি শুরু হয়।

গাম্বিয়ার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে দেশের আইন ও বিচারমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু। মিয়ানমারের নেতৃত্বে রয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি।

মামলার বাদীপক্ষ গাম্বিয়ার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মঙ্গলবার শুনানি শুরু হয় মঙ্গলবার। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে গাম্বিয়া এবং বিকালে মিয়ানমার প্রতিপক্ষের যুক্তি খণ্ডন ও চূড়ান্ত বক্তব্য পেশ করবে।

এদিকে, গতকাল হেগের আদালতে যখন বিচারকাজ চলছিল তখন বাইরে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ প্রকাশ করেন বিভিন্ন দেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে জড়ো হওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকরা।

হেগের আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়
হেগের আদালতের সামনে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়

পাশাপাশি আরেক অংশে প্রবাসী বাংলাদেশিদেরও স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। এসময় তারা ‘স্টপ জেনোসাইড’ স্লোগান দেন। তবে সু চি’র পক্ষে মিয়ানমারে র‌্যালি করেছে সরকারপন্থীরা।

অবশ্য শুধু বিক্ষোভ নয়, মামলায় গাম্বিয়াকে লজিস্টিক বিভিন্ন সাপোর্ট দিতে হেগে উপস্থিত আছে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল। শুধু বাংলাদেশ নয়, গাম্বিয়াকে সাপোর্ট করতে সেখানে আছে কানাডার প্রতিনিধি দল, নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও মুসলিম বিশ্বের দেশগুলোর সংগঠন ওআইসির কূটনীতিকরা।

এদিকে, মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে বয়কটের ডাক দিয়ে বিশ্বব্যাপী প্রচারে নেমেছে ৩০টি মানবাধিকার সংগঠন। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা শুনানির আগে সোমবার এ আহ্বান জানানো হয়।

অপরদিকে রাখাইন রাজ্যে নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ও শান রাজ্যের ১৭টি সংগঠন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিচার দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১ নভেম্বর অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি) হয়ে গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে। রোহিঙ্গা গণহত্যার বিচারের দাবিতে আইসিজেতে মামলাটি হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!