অরুণাচল সীমান্তে চীনকে ঠেকানোর ব্যাপক প্রস্তুতি ভারতের

আমেরিকার হেলিকপ্টার, কামান ব্যবহার

চীনের মোকাবিলায় অরুণাচল প্রদেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি)-য় নিরাপত্তা ও নজরদারি ব্যবস্থা ঢেলে সাজছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। প্রতিরক্ষা পরিকাঠামোর উন্নয়নের পাশাপাশি বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে আধুনিক অস্ত্রসম্ভার এবং নজরদারি সরঞ্জাম মোতায়েনের উপর। আর সেই অস্ত্রের বড় অংশ সরবরাহ করছে আমেরিকা।

সেনা সূত্রের খবর, অরুণাচলের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর দুর্গম সেনাঘাঁটিগুলিতে মোতায়েনের জন্য আনা হয়েছে আমেরিকার তৈরি এম-৭৭৭ হাউইৎজার। সেগুলি দ্রুত পৌঁছনোর জন্য আমেরিকার তৈরি চিনুক হেলিকপ্টারও মোতায়েন করা আছে।

পাশাপাশি, আমেরিকায় তৈরি এসআইজি-৭১৬-আই স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, এম-৪ কার্বাইন, ব্যাটেট এম-৮২ ভারী রাইফেলের মতো অস্ত্রও সঙ্গী ভারতীয় সেনার।

Travelion – Mobile

আমেরিকার বিএই সংস্থার তৈরি ১৫৫ মিলিমিটার (৩৯ ক্যালিবার)-এর এম-৭৭৭ আফগানিস্তানে ন্যাটো বাহিনীর অন্যতম হাতিয়ার ছিল। বিশ্বে এটাই প্রথম ১৫৫ মিলিমিটার কামান, যার ওজন ৪,২১৮ কিলোগ্রামের কম। ফলে ভারী পরিবহণ হেলিকপ্টারের সাহায্যে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা যায় সহজেই। ২৪ থেকে ৪০ কিলোমিটার পাল্লার মোট চার ধরনের গোলা ব্যবহার করা যায় এই কামানে।

আশির দশকের রুশ ভারী পরিবহণ কপ্টার এমআই-২৬-এর পরিবর্ত হিসেবে বছর কয়েক আগে ভারতীয় বায়ুসেনার জন্য আনা হয়েছিল চিনুক। আমেরিকার সংস্থা বোয়িং-এর তৈরি এই কপ্টারগুলি গত শীতে লাদাখের দুর্গম সেনাঘাঁটিগুলিতে অস্ত্র ও রসদ পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল।

সেনার একটি সূত্র জানাচ্ছে, ১৯৬২ সালে অরুণাচলের তাওয়াংয়ে যে এলাকাগুলি দিয়ে চিনা ফৌজ হামলা চালিয়েছিল, আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ড্রোনের পাশাপাশি নজর ব্যবহার করা হচ্ছে উপগ্রহ প্রযুক্তিও।
সূত্র : আনন্দবাজার

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!