যুক্তরাষ্ট্রে উদীচীর ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

বর্ণিল আয়োজন

0

বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্র শাখা সংগঠনের ৫৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে ।

শনিবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট রফিকুল হাসান জিন্নাহ। মঙ্গল দ্বীপ জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়।

যুক্তরাষ্ট্ প্রবাসের সব খবর জানতে, এখানে ক্লিক করে আকাশযাত্রার ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে যুক্ত থাকার অনুরোধ

Travelion – Mobile

উদীচীর সাধারণ সম্পাদক আলিমউদ্দিনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সহ সভাপতি শরাফ সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক লিলি মজুমদার, জ্যামাইকা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশিষ রায় এবং ব্রঙ্কস শাখার অন্যতম সংগঠক মো. মুকিত চৌধুরী।

বক্তব্য রাখছেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী একুশের পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্র নাথ রায়।
বক্তব্য রাখছেন অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী একুশের পদকপ্রাপ্ত রথীন্দ্র নাথ রায়।

একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী রথীন্দ্রনাথ নাথ রায় বলেন, “বাঙালিরা যখন শোষিত-শাসিত ছিলাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, সেই মুহূর্তে ১৯৬৮ সালে সত্যেন সেন উদীচী প্রতিষ্ঠা করেন। সঙ্গে ছিলেন আরেক মনীষী রণেশ দাশগুপ্ত।’

‘উদীচী শুধু একটি গানের স্কুল নয়, উদীচী হচ্ছে একটি আদর্শ, উদীচী হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার উন্মেষ।” উদীচীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন
রথীন্দ্রনাথ রায় আরও বলেন, সত্যেন দা’র এই কাজের জন্যে শুধু আমরা সাংস্কৃতিক কর্মীরাই ঋণী নই-গোটা বাংলাদেশটাই তার কাছে ঋণী। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা, গণতন্ত্রের পথ, এবং মানবিক মূল্যবোধের পথ-প্রদর্শকও ছিলেন। মানুষে মানুষে কোন বিভেদ থাকবে না-এমন শিক্ষা দিয়ে গেছেন আমাদেরকে।’

রফিকুল হাসান জিন্নাহ বলেন, “উদীচীর নামটি যখন রাখা হয়েছিল তখন আমারও ধারণা ছিল না যে উদীচী অর্থ কী। সত্যেন দা অনেক চিন্তা করেই নামটি রেখেছেন। আর এর অর্থ হচ্ছে উত্তরের নক্ষত্র। পথহারা নাবিককে পথ দেখানো।”

“এই মন্ত্র শুধুমাত্র একটি দেশের জন্যে নয়, সমগ্র বিশ্বকেই পথ দেখানো। বিভ্রান্ত নাবিককে সঠিক পথের দিশা দেওয়া”

 উদীচীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন
উদীচীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন

‘আজ কানাডা, আমেরিকা, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশে উদীচীর পদচারণা দেখি, তখোন মনে হয় যে সত্যেন দা’র স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছে এই সংগঠন’, জিন্নাহ যোগ করেন।

জিন্নাহ আরও উল্লেখ করেন, ‘শোষিত মানুষের কথা বলতে গেলেই সামনে আসে জাত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে যে মানুষ-তারই সংগঠন হচ্ছে উদীচী। এখন সেভাবেই কাজ করছে উদীচী’।

আরও পড়তে পারেন :
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সম্মাননা
নিউইয়র্ক মাতলো লালন উৎসবে
যুক্তরাষ্ট্রে ‘জাসদের সুবর্ণজয়ন্তী’ উদযাপন
মিশিগানে ভায়োলেটসের ২য় বর্ষপূর্তি উদযাপন

সুব্রত বিশ্বাস তার বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, “আপসকামিতার কারণেই আজ মৌলবাদি শক্তি সারা বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের অবস্থান ও শক্তি বৃদ্ধি করছে। ওদের অপতৎপরতার কারণে গ্রাম-গঞ্জে এখন বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে।

 উদীচীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন
উদীচীর শিল্পীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা করেন

“অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে, উদীচীকে কোন অনুষ্ঠান করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়”, তিনি যোগ করেন।

দ্বিতীয় পর্বে উদীচীর শিক্ষার্থী শিল্পীসহ জনপ্রিয় শিল্পীরা নৃত্য-সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এঁরা হলেন লিলি মজুমদার, ফুলু রায় চৌধুরী, স্নিগ্ধা আচার্য্য, সুপর্ণা সরকার, পার্বতী রায়, হাফিজ চৌধুরী, বাবুল আচার্য, আশীষ রায়, প্রবীর দাশ দিপু, সুমন দে, সুচরিত দত্ত, আলীম উদ্দীন, সুলেখা পাল, সারিকা কর্মকার, শিশু শিল্পী শিবাদিত্য দত্ত, দেবাদিত্য দত্ত, সুদীপ্তা ধর, আদৃতা ধর।

অতিথি শিল্পী ছিলেন রফিকুল ইসলাম, তোফাজ্জেল হোসেন এবং শাহীন দেলোয়ার। তবলায় ছিলেন۔ সুচরিত দত্ত, মন্দিরায় প্রবীর দাশ দীপু এবং বেহেলায় ছিলেন আদৃতা ধর।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন