প্রবাসে বাংলাদেশি নারীরাও বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা পেশায় সম্পৃক্ত হচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানেও দক্ষ হাতে বিভিন্ন ব্যবসা সামলাচ্ছেন বাংলাদেশি নারীরা।
এমন নারী উদ্যোক্তাদের অনলাইনভিত্তিক সংগঠন ভায়োলেটসের সদস্যরা আনন্দ আয়োজনে উদযাপন করলো ২য় বর্ষপূর্তি ।
গত রবিবার ওয়ারেন সিটির আড্ডা মিউজিক ক্যাফে এন্ড রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন মিশিগান, টেক্সাসসহ অন্যান্য রাজ্যের প্রতিষ্ঠিত নারীরা উদ্যোক্তারা।
পারমিতা সিথী ও আফরিন মাহদীর সঞ্চলনায় অনুষ্ঠানে নারীরা কবিতা, কৌতুক, নাচ ও গানে নিজেদের প্রতিভাকে তুলে ধরেন।
গান পরিবেশন করেন নিলুফা আক্তার নিলু, ইলোরা হোসেইন, ফারিন ফারিয়া। নাচে মুগ্ধতা ছড়ান ভায়োলেটসের কর্ণধার শারমিন তানিম, মহুয়া দাস, এঞ্জেলা খন্দকার, নিবেদিতা শীমি, সুচিতা মৌ, জিসা, ত্রিশা এবং সুরভীসহ আরো অনেকেই।
মিশিগানে প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি-আমেরিকানদের বসবাস। শুরুতে নারীদের সংখ্যা কম হলেও ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। শিক্ষিত বাঙালী নারীরা নিজেদের মেধা, প্রতিভা ও সৃজনশীলতাকে কাজে লাগিয়ে ক্যাটারিং থেকে শুরু করে দেশীয় জামা- কাপড়ের ব্যবসা, জুয়েলারী, ব্রাইডাল মেকাপ এমনকি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ব্যবসায় যুক্ত হয়ে আর্থিকভাবে সাবলম্বি হচ্ছেন।
ভায়োলেটসের প্রতিষ্ঠাতা শারমিন তানিম বলেন, মিশিগানে বসবাসরত নারীরা মাতৃভূমিতে উৎপাদিত পণ্য আমদানি করে ব্যবসা করছেন। আর তাদেরকে উৎসাহ দিতেই কাজ করছে ভায়োলেটস ।
‘যেসব নারীরা দেশীয় পণ্য উৎপাদন নিয়ে কাজ করেন মূলত তাদেরকে ফোকাস করার জন্যই গঠন করা হয়েছে এ সংগঠন, তিনি যোগ করেন।
টেক্সাস থেকে আনন্দ আয়োজনে যুক্ত হওয়া রুপারু’র কর্ণধার নাফসিয়া মতিন মিলি বলেন, প্রবাসে থাকলেও নিজের সংস্কৃতির ও ঐতিহ্যের পোশাকের চাহিদা মেটাতে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়েছি।’
চিত্রপটের কর্ণধার প্রজ্ঞা পারমিতা ও রাহাত সুলতানা দুইজনেই পেশাগত জীবনে ইঞ্জিনিয়ার। তারপরেও পরিবারের সমস্ত কাজ শেষ করে নিজেদের ভাললাগা থেকেই অনলাইনে দেশীয় কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেন।
তারা বলেন, ‘দেশের তাঁতশিল্প এক সময় মৃত অবস্থায় ছিল। দেশপ্রেম ও নিজেদের দায়িত্ববোধ থেকে দেশীয় তাঁতের কাপড় আমদানি করছি। তাঁতীদের একটুও সহযোগিতা করতে পারছি বলে কে আমরাগর্ববোধ করি’।
আনন্দ আয়োজনে আরও কথা হয়, আয়না ইভেন্ট এন্ড ডেকরের কর্ণধার তাহিরা লস্কর, ফারজানা ডালিয়া ও ফেরদৌসি জায়গিরদার সঙ্গে।
আরও পড়তে পারেন : নিউইয়র্ক মাতলো লালন উৎসবে
তাঁরা বলেন, ভায়োলেটস কাজ করছে নারী উদোক্তাদের নিয়ে। আর আমাদের প্রতিষ্ঠান কাজ করছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ডেকর নিয়ে। আমারা চেষ্টা করছি দুইয়ের সমন্বয়ে আমরাও নারীদের পাশে থাকতে। সেটাই আমাদের জন্য আনন্দের’।