৩৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেলো রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড

ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উৎসাহিত করতে ষষ্ঠবারের মতো দেওয়া হয়েছে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’। এ বছর রেমিটেন্স পাঠিয়ে এবং পাঠাতে সহায়তা করে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কার পেয়েছন ৩৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান।

এর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে ১০ জন, বিশেষজ্ঞ পেশাজীবী ৮ জন, ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে ১০ জন, রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক ৫টি ও অনাবাসী বাংলাদেশি মালিকানাধীন তিনটি একচেঞ্জ হাউজ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন বিভাগ ২০১৪ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।

সোমবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারস আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৮’ অর্জনকারীদের ক্রেস্ট, সনদ তুলে দেন । বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, .বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল , নির্বাহী পরিচালক একেএম ফজলুর রহমান, যুক্তরাজ্য প্রবাসী চিকিৎসক ডা. আফতাব হোসেন ও ইমরুল হোসেন ভুঁইয়া।

বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সাধারণ পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে কুয়েত প্রবাসী জাকির হোসেন, শিকদার বাচ্চু, যুক্তরাজ্যের ডা আফতাব হোসেন, জার্মানির কামরুজ্জামান, যুক্তরাষ্ট্রের সুকেশ রায়, মালয়েশিয়ার আহমেদ রায়হান সামসী, সিঙ্গাপুরের দেওয়ান মাসুদ কামার, কাতার প্রবাসী ইকবাল হোসেন, নাইজেরিয়ার নওশাদ আহমেদ ও যুক্তরাষ্ট্রের ডা ইশা খশনু।

সাধারণ পেশাজীবী ক্যাটাগরিতে সিঙ্গাপুর প্রবাসী ইমরুল হোসেন ভুইয়া, ওমানের রফিকুল আলম, কানাডার মোস্তফা কামাল, সিঙ্গাপুরের সুভাষ চন্দ্র মজুমদার, কাতারের নির্মল কান্তি ঘোষ, কুয়েতের তৌহিদ আহমেদ, সোমালিয়ার নাসের আহমেদ ও আফগানিস্তানের রেজাউল বারী চৌধুরী।

প্রবাসী ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ ওলিউর রহমান, আবদুল করিম, মো শাজাহান বাবলু, মোহাম্মদ আব্দুন নুর কাউসার, মো এমাদুর রহমান, মাহবুবুল হাদী ফজলে রাব্বী, নুর মোহাম্মদ, সিঙ্গাপুরের আবু তাহের মোহাম্মদ আমানুল্লাহ, যুক্তরাষ্ট্রের মঞ্জুরুল সোহেল আলম।
রেমিট্যান্স আহরণকারী ব্যাংক: ইসলামী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ও জনতা ব্যাংক। বাংলাদেশি মালিকানাধীন মানি একচেঞ্জ হাউজ: ন্যাশনাল একচেঞ্জ কোম্পানি, এনইসি মানি ট্রান্সফার লিমিটেড ও প্লাসিড এনকে করপোরেশনকে অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী চলতি অর্থবছরে ২০ বিলিয়ন ডলার (দুই হাজার কোটি ডলার) রেমিটেন্স আসবে বলে আশা করেন। প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “আমি আশা করি, আপনারা রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়াতে পারবেন। আর রেমিট্যান্স বাড়ানোর বিষয়ে যত সহযোগিতা দরকার তা সরকার দেবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির বলেন, কারিগরি ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জন করে বিদেশ যাওয়া ভালো। দক্ষতার কারণে প্রতিবেশী দেশগুলোর শ্রমিকরা বিদেশে অনেক বেশি বেতনে কাজ করছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানো ও আত্মীয়-স্বজনের জন্য অভিবাসন নীতিমালা করা প্রয়োজন।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা বলেন, আজ যারা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন, তারা বিদেশে আরও বেশি কাজের সুযোগ দিতে সহযোগিতা করলে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে।