লেবাননে নতুন সরকার গঠন প্রক্রিয়া তিন দিন পিছাল
লেবাননের রাষ্ট্রপতি মিশেল আওন দ্বিতীয়বারের মতো বাধ্যতামূলক সংসদীয় পরামর্শ সভা স্থগিত করেছেন। আজ সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বাবদা প্রাসাদে এ বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এর ফলে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন ও সরকার গঠন আবার পিছিয়ে গেল।
রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে,”সরকারের গঠনে জন্য আরও আলোচনার জন্য বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) পর্যন্ত সংসদীয় পরামর্শটি সভাটি স্থগিত করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী সাদ হরিরির ইচ্ছায় সাড়া দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আওন।”
আজকের সভায় পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসিবে সাদ হরিরির নাম ওঠার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। মূলত: সরকার গঠনের বিষয়ে সকল পক্ষ ঐক্যমতে না পৌঁছায় হারিরি অনুরোধেই সভা তারিখ পিছিয়েন রাষ্ট্রপতি। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে হারিরি সম্ভাবনা পুরোপুরি রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
হারিরি বিশেষজ্ঞ এবং রাজনৈতিক দলগুলো থেকে স্বাধীন প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত একটি সরকারের নেতৃত্ব দিতে আগ্রহী । অন্যদিকে ফ্রি প্যাট্রিয়টিক মুভমেন্ট, হিজবুল্লাহ এবং আমাল আন্দোলন রাজনৈতিক-প্রযুক্তিবাদী সরকার গঠনের জন্য চাপ দিচ্ছে।
দেশব্যাপী সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যে ২৯ অক্টোবর সাদ হরিরি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তার পুরানো মন্ত্রীসভারনিয়েতিনি এখন তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন।
এ দিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় লেবাননকে অর্থনৈতিক ও আর্থিক পতন এড়াতে, জনগণের বিক্ষােভকে প্রশমিত করতে এবং একাধিক মূল সংস্কার কার্যকর করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি নতুন, কার্যকর সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।
গত বছর সিডিডিআর সম্মেলনে লেবাননের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহজ ঋণ এবং অনুদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তবে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে সরকারের ব্যর্থতার কারণে এই সহায়তা সরবরাহে বিলম্বিত করা হয়।
লেবাননের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশেষ সমন্বয়কারী জান কুবিস রবিবার টুইট করে লেবাননের রাজনীতিবিদদের “দায়িত্বশীলতার সাথে” কাজ করার এবং “শান্তিপূর্ণভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথে সহায়তা করার” আহ্বান জানিয়েছেন।