লেবাননে দুই সন্তানসহ বাংলাদেশি মায়ের বিষপান, মা ও এক সন্তানের মৃত্যু

লেবাননে দুই শিশুসন্তানসহ বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টায় মৃত্যু হয়েছে বাংলাদেশি এক নারী কর্মী ও তার শিশুকন্যার। বিষক্রিয়া কম থাকায় বিষক্রিয়া কম থাকায় অপর শিশুসন্তানটি বেঁচে গেছে এবং এখন শংকামুক্ত। স্বামীর দেনার বোঝা পরিশোধে জেরে তিনি আত্মহননের পথে যায় বলে প্রতিবেশি বাংলাদেশিরা জানিয়েছে।

বিলম্বে পাওয়া খবরে জানা যায়, ১৬ আগস্ট রাজধানী বৈরুতের ছাবরা বাজার এলাকয় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাস এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

আত্মহননকারী ওই বাংলাদেশি নারীকর্মীর নাম শিরিন খাতুন। বাংলাদেশে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায় তার বাড়ি।

Travelion – Mobile

সাবরা বাজারের প্রবাসী বাংলাদেশিদের সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দুপুরে শিরিন খাতুন ছেলে মাহমুদ ও মেয়ে খাদিজাকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষপান করেন। খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে শিরীনও তার দুই শিশুসন্তানকে মূমুর্ষ অবস্থায় বাসা থেকে উদ্ধার করে দ্রুত বৈরুতের মাকাসাদ হাসপাতালে নিয়ে যায়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় দুই দিন পর শিশুকন্যা খাদিজা মারা যায়। এর একদিন পর মা শিরীন খাতুনের মৃত্যু হয়।

প্রতিবেশী বাংলাদেশিরা জানান, শিরীন খাতুন তার স্বামী রাজু উদ্দিনের সঙ্গে অনেকদিন থেকেই ছাবরা এলাকায় আছেন। দুই বছর আগে স্বামী রাজু স্থানীয় কয়েকজন বাংলাদেশি থেকে মোটা অংকের অর্থ ঋণের নামে হাতিয়ে নিয়ে বাংলাদেশে চলে যায়।

তখন থেকেই পাওনাদাররা অর্থের জন্য শিরীনকে চাপ দিতে থাকে। দেশে স্বামী রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করে পাওনাদারদের টাকা ফেরতের বার বার অনুরোধ জানিয়ে ব্যর্থ হয় শিরিন। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ফোনে প্রায়শ: কলহ হতো। টাকা শোধ করা শিরিনের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। উপরন্ত দুই সন্তানের ভরপোষণও নিতে হয়। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত আত্মহনের পথ বেছে নেয়।

বাংলাদেশ থেকে ভিডিও বার্তায় শিরীনের মা মনোয়ারা বেগম তার মেয়ে ও নাতির মৃত্যুর জন্য স্বামী রাজুকে দায়ী করে। মেয়ের মরদেহ ফিরে পেতে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুকন্যা খাদিজার মরদেহ দূতাবাসের তত্বাবধানে লেবাননে দাফন করা হয়েছে। মা শিরীনের মরদেহ দেশে তার পরিবারের কাছে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!