লকারের সোনা চুরি, কাস্টমস ইন্সপেক্টরসহ ৫ জন পুলিশ হেফাজতে
বেনাপোল কাস্টস হাউজেরর গোপনীয় লকার ভেঙে স্বর্ণ, ডলার ও মূল্যবান কাগজপত্র চুরি হবার ঘটনায় একজন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (ইন্সপেক্টর) একজন সিপাই এবং তিন এনজিও সদস্যসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশী হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
এরা হলেন ইন্সপেক্টর সাহিবুল সরদার ও সিপাই পারভেজ এবং এনজিও সদস্য আজিবর, মহব্বত ও সুরত আলী।
সোমবার সকাল ১০টায় অফিস খোলার পর ওই লকারের তালা ভাঙা দেখতে পায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটি থাকায় কখন কোনদিন এ পণ্য চুরি হয়েছে, তা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার শহিদুল ইসলাম জানান, দায়িত্বে অবহেলার কারণে সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা (পরিদর্শক) শহীদুল সরদার এবং ৫ জন সিপাহীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে কী পরিমাণ অর্থ সম্পদ খোয়া গেছে তা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। খতিয়ানের হিসাব মিলিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।
এদিকে, সোমবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় প্রাথমিক তদন্ত শেষেই লকার থেকে সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনায় পাঁচজনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। যশোর জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি) তৌহিদুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত কোনও এক সময় এ চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহজনকভাবে ৫ জনকে বেনাপোল পোর্ট থানায় নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কাস্টমসের যে স্থানে লকার ছিল, সেখানে কোনও নিরাপত্তাকর্মী থাকে না। এর ফলে চোরচক্র সহজেই এ ঘটনা ঘটাতে পেরেছে। কাস্টমসের ওই লকারে ২৯ কেজি সোনা ছিল। সেখান থেকে ১৯ কেজি ৩৮০ গ্রাম সোনা চুরি হয়েছে। বিগত ৫ থেকে ৬ বছরে জব্দ মূল্যবান জিনিসপত্র এ লকারে সংরক্ষণ করা ছিল।