ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশিতার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১৫

মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১১ নভেম্বর) গভীর
রাত ৩টার দিকে উপজেলার মন্দভাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তুর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং চট্টগ্রাম-সিলেটের সঙ্গে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ প্রশাসনের উধর্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছেছেন। রেলমন্ত্রী ও সচিব ঢাকা থেকে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হয়েছেন।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যমল কান্তি দাস আকাশযাত্রাকে জানান, দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরও মরদেহ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয়রাসহ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।

Travelion – Mobile

জানা যায়, উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটি তুর্ণা নিশীথাকে সাইড দিচ্ছিলো। তখন উদয়ন ট্রেনের অর্ধেক বগি অন্য লাইনে ঢোকার পর বাকি বগিগুলোতে তুর্ণা নিশীথা ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বগি দুমড়ে-মুচড়ে যায় ।

দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।
দুইটি ট্রেনের কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জানান, ঘটনাস্থলে নয়জন, রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুইজন, কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনজন এবং কুমিল্লা সদর হাসপাতালে একজন মারা যান। গুরুতর আহত ৪০ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে
মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে

মৃতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া বগির নিচে আরো মরদেহ থাকতে পারে। হতাহতদের উদ্ধার কাজ চলছে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের চিফ ইঞ্জিনিয়ার শফিক তুহিন জানান, দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন দুইটি উদ্ধার করতে কুমিল্লার লাকসাম ও আখাউড়ার রেলওয়ে জংশন থেকে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে এসেছে। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!