মেক্সিকোতে শিশুদের নিয়ে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন

মেক্সিকোতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিনে ‘শেখ রাসেল দিবস’ উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস।

এ উপলক্ষে সোমবার (১৮ অক্টোবর) দূতাবাস মেক্সিকো শহরের চাপুলতেপেক পাবলিক এলিমেন্টারি স্কুল’-এর প্রায় ৮০ জন শিশু নিয়ে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সকাল সাড়ে ৮টায় রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বাংলাদেশ দূতাবাসে শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়।

Travelion – Mobile

এরপর সকাল ৯টায় চাপুলতেপেক পাবলিক এলিমেন্টারি স্কুল’ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ প্রায় ১০০ জনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশুদের মধ্যে তাৎপর্য সম্পর্কে ‘‘Tribute to the Memory of Sheikh Russel’’ শীর্ষক স্পেনিশ ভাষায় একটি লিফলেট বিতরণ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার বক্তব্যে শেখ রাসেলের স্মতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবহিত করেন যা স্পেনিশ ভাষায় ভাষান্তর করে সমবেত সবার কাছে উপস্থাপন করা হয়।

মেক্সিকোতে শেখ রাসেল দিবস  উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম
মেক্সিকোতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম

রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম আলোচনাকালে শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম একটি হত্যাকাণ্ড উল্লেখ করে বলেন, শেখ রাসেল আজ জীবিত থাকলে তিনিও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে দেশ এবং জাতি গঠনে তথা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারতেন।

স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ কোমলমতি শিশুরা শেখ রাসেল এবং তার সম্পর্কিত আলোচনা শোনার পরে অনেকটা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিধিনিষেধ থাকায় সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে শুধুমাত্র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে, রাষ্ট্রদূত শেখ রাসেল-এর জন্মদিন উপলক্ষে একটি কেক কাটেন।

অংশগ্রহণকারী শিশুদের মধ্যে মুজিব লোগসহ ডায়েরি ও বিভিন্ন উপহার বিতরণের পাশাপাশি তাদের আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্যায়ের সমাপ্তি ঘটে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে বেলা ১১টায় দূতাবাসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সমম্বয়ে মেক্সিকো শহরস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসে শেখ রাসেল ও জাতির পিতাসহ তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে ও তাদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং বিশেষ মোনাজাত করা হয়। শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পড়ে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানে শেখ রাসেলের ওপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়। শেখ রাসেলের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনা পর্বে উপস্থিত সবাই স্বতস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!