মালয়েশিয়ায় সহকর্মীকে হত্যার দায় বাংলাদেশির বিরুদ্ধে

মালয়েশিয়ায় আলম সফিক নামের এক বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আরেক বাংলাদেশি মোহাম্মদ ইমরানের বিরুদ্ধে।

সফিক ও ইমরান ২ জনই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তারা সহকর্মী ছিলেন।

গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার একটি আদালতে ইমরানের বিরুদ্ধে গত ২১ আগস্ট রাতে সফিককে হত্যার অভিযোগ আনা হয়।

Travelion – Mobile

ম্যাজিস্ট্রেট নুর ফাদ্রিনা জুলখাইরির আদালতে চার্জটি পড়ে শোনানোর পর মাথা নেড়ে হত্যার দায় স্বীকার করেন মোহাম্মদ ইমরান। আদালত ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ২৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।

আরও পড়তে পারেন : মালয়েশিয়ায় জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে প্রবাসী মাহবুব, বাঁচানোর আকুতি পরিবারের

ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর নুরুল আতিকাহ আশরাফ আলী প্রসিকিউশনের পক্ষে উপস্থিত থাকলেও আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে, মামলাটি হাইকোর্টের এখতিয়ারভুক্ত হওয়ায় আসামিদের পক্ষ থেকে কোনো আবেদন করা হয়নি। দণ্ডবিধির ৩০২ ধারার অধীনে দোষী সাব্যস্ত হলে আসামির মৃত্যুদণ্ড হতে পারে।

নিহত আলম সফিক ১০ বছর ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন। গত মাসে তিনি পেনাং এয়ারপোর্টের পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজে যোগদান করেন। এখানে আগে থেকেই কাজ করতেন ইমরান।

ঘটনার দিন সফিক ও ইমরানের মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সফিকের পেট, হাত ও মুখের বিভিন্ন অংশে ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন ইমরান।

আরও পড়তে পারেন : মালয়েশিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীর স্থায়ী বসবাসের ভিসা চালু

সফিকের রুমমেট মোহাম্মদ সিরাজ জানান, এক পর্যায়ে সফিক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান ইমরান। গুরুতর আহত অবস্থায় সফিক সিরাজকে ফোন দিয়ে তাকে বাঁচাতে বলেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে ফোন করেন সিরাজ। কিন্তু পায় ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পরও অ্যাম্বুলেন্স না আসায় মারা যান সফিক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সফিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।

হত্যার দিনই ঘটনাস্থলের পাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইমরানকে আটক করা হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!