মালয়েশিয়ায় বিদেশি বিনিয়োগকারীর স্থায়ী বসবাসের ভিসা চালু

ধনী বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে মালয়েশিয়ায় চালু হচ্ছে প্রিমিয়াম ভিসা।

সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও পর্তুগালের গোল্ডেন ভিসার মতো ধনী বিনিয়োগকারীদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ দিতে মালেয়েশিয়া সরকার এই নতুন প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) চালু করেছে।

আগামী ১ অক্টোবর থেকে প্রিমিয়াম ভিসার আবেদন করা যাবে। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

Travelion – Mobile

এতে বলা হয়, সব বয়সের আগ্রহী বিদেশি বিনিয়োগকারীর অফশোর আয় মাসে কমপক্ষে ৪০ হাজার বা বছরে ৪ লাখ ৮০ হাজার রিঙ্গিত থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন প্রিমিয়াম ভিসা চালুর বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘প্রিমিয়াম ভিসা প্রোগ্রাম (পিভিআইপি) মালয়েশিয়ার সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এমন দেশগুলো ছাড়া সব দেশের ধনী ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আবেদনকারীদের সংখ্যা মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার ১ শতাংশে সীমিত রাখা হবে।’

আবেদনকারীদের অবশ্যই ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কমপক্ষে ১ মিলিয়ন রিঙ্গিত থাকতে হবে এবং সম্পত্তি কেনার জন্য বা চিকিৎসা ও শিক্ষাগত খরচের জন্য এক বছর পরে সেই পরিমাণের অর্ধেক তুলে নেওয়ার অনুমতি আছে।

সফল আবেদনকারীদের তাদের স্বামী বা স্ত্রী, সন্তান, পিতামাতা, শ্বশুর ও গৃহকর্মীকে বিদ্যমান অভিবাসন আইন সাপেক্ষে নির্ভরশীল হিসেবে আনতে অনুমতি দেওয়া হবে।

হামজাহ বলেন, ‘আবেদনকারীদের এককালীন ২ লাখ রিঙ্গিত অংশগ্রহণ ফি দিতে হবে এবং প্রতিটি আবেদনে নির্ভরশীলের জন্য এককালীন ১ লাখ রিঙ্গিত ফি ধার্য করা হবে।’

আরও পড়তে পারেন : প্রবাসীরা দেশে ১০ হাজার ডলারের বেশি কাছে রাখতে পারবেন না

অংশগ্রহণকারীদের ২১ বছরের বেশি বয়সী শিশুরা নির্ভরশীল বলে বিবেচিত হবে না এবং দেশে থাকার জন্য অবশ্যই পিভিআইপি অংশগ্রহণকারী হওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আবেদনকারী বর্তমানে যে দেশে বসবাস করছেন সেখানকার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ভালো আচরণের একটি পত্র জমা দিতে হবে। পিভিআইপি ২০ বছরের জন্য প্রযোজ্য, তবে প্রতি ৫ বছরে একবার পুনর্নবীকরণ করা হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে একটি বৈধ পাসপোর্ট, ব্যক্তিগত তথ্য আপডেট করা, মালয়েশিয়ায় পুলিশের স্ক্রিনিং এবং চিকিৎসা পরীক্ষা।’

আবেদনকারী এবং নির্ভরশীলদের অবশ্যই স্বাস্থ্য বীমা থাকতে হবে। পিভিআইপি সুবিধার অংশ হিসেবে অংশগ্রহণকারীদের সম্পত্তি কেনার (রাষ্ট্রীয় আইন সাপেক্ষে), অধ্যয়ন, বিনিয়োগ ও ব্যবসা পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আত্মবিশ্বাসী পিভিআইপি বিশ্বব্যাপী টাইকুনদের আকর্ষণ করবে। সরকার প্রথম বছরে ১ হাজার অংশগ্রহণকারীদের টার্গেট করেছে যারা অর্থনীতিতে ২০০ মিলিয়ন এবং ১ বিলিয়ন রিঙ্গিত স্থায়ী আমানতে অবদান রাখবে।’

এই প্রোগ্রামটি আরও বেশি বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আনতে পারে যা অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারে এবং মালয়েশিয়ানদের জন্য চাকরি তৈরি করতে পারে। এতে রিঙ্গিতের চাহিদাও বাড়বে এবং এর মানও শক্তিশালী হবে এমন আশা প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজাহ জয়নুদিন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!