মালয়েশিয়ায় ডিসেম্বরে ‘শোকেস বাংলাদেশ’

মালয়েশিয়ায় আগামী ডিসেম্বরে ৬ষ্ঠ বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘শোকেস বাংলাদেশ’। দেশীয় পণ্যের নতুন রফতানি বাজার সন্ধান ছাড়াও বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা, বিনিয়োগ পরিবেশ ও সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে ট্রেড ফেয়ারের এই ইভেন্টে।

বাংলাদেশ হাইকমিশনের সহায়তায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ (বিএমসিসিআই) ‘শোকেস বাংলাদেশ’ আয়োজন করছে। ইভেন্টের তারিখ এখনও চুড়ান্ত করা হয়নি।

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় আয়োজকরা জানান, শোকেস বাংলাদেশে বাংলাদেশি বিভিন্ন খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন খাতের পেশাজীবীরা অংশ নেবেন।

Travelion – Mobile

তারা বলেন, শোকেস বাংলাদেশে বিভিন্ন পণ্যের রফতানির সুযোগ তৈরি করাই টার্গেট থাকবে বাংলাদেশের। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে ফোকাস করা হবে।

সময়োপযোগী এ উদ্যোগ বিশ্ববাজারে ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশকে আরও প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আয়োজকরা আশা করেন ।

শোকেস বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য (এফটিএ) স্বাক্ষরের পথ প্রশস্ত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার ।

সমন্বয় সভার সভাপতির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু রাষ্ট্র ও ব্যবসায়িক পার্টনার মালয়েশিয়ার বাজারে বর্তমানে ৯৩টি বাংলাদেশি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। মালয়েশিয়া ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করলে সেখানে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি অনেক বাড়বে।

‘মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের পাট-পাটজাত পণ্য, মসলা, চামড়া-চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, আলু, শাক-সবজি, সিরামিক টেবিল ওয়্যার, হিমায়িত মাছ, তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, টেকসটাইল ও হালাল খাদ্য পণ্যের প্রচুর চাহিদা রয়েছে’, হাইকমিশনার যোগ করেন।

মালয়েশিয়ার মেট্রেডের নেতাদের সঙ্গে বিএমসিসিআই-এর প্রতিনিধি দল।
মালয়েশিয়ার মেট্রেডের নেতাদের সঙ্গে বিএমসিসিআই-এর প্রতিনিধি দল।

বিএমসিসিআই-এর সভাপতি সৈয়দ আলমাছ কবির বলেন, ‘শোকেস বাংলাদেশ’ এবং ‘শোকেস মালয়েশিয়া’- বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারের সিগনেচার ইভেন্ট যা প্রতি বছর বাংলাদেশ অথবা মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। আমরা মালয়েশিয়ান বিনিয়োগের পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগকেও উৎসাহিত করি।

তিনি আরও বলেন, ‘অতীতে উল্লেখযোগ্য বাণিজ্য ঘাটতি থাকলেও সম্প্রতি আমাদের রপ্তানি সক্ষমতা বেড়েছে। গত ২৫ বছরে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের রপ্তানি গড়ে ১২.৪% হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া চেম্বারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে আমরা ভারসাম্যপূর্ণ বাণিজ্যের পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছি’।

সমন্বয় সভায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতাহার হোসেন খাঁন, যুগ্ম সম্পাদক রোবাইয়াত আহসান ও পরিচালক মাহবুব আলম শাহসহ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ এ খাস্তগীর, মিনিষ্টার লোবার নাজমস সাদাত সেলিম, দূতালয় প্রধান কাউন্সেলর মো. রুহুল আমিন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মিয়া মোহাম্মদ কিয়াম উদ্দিন ও প্রথম সচিব (বাণিজ্য) প্রণব কুমার ঘোষ।

আকাশযাত্রার ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করার অনুরোধ

পরে বিএমসিসিআই-এর প্রতিনিধিদল শোকেস বাংলাদেশ সফল করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার মিনিষ্ট্রি অফ ইন্টান্যাশনাল ট্রেড এন্ড ইন্ডাষ্টি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মেট্রেডের সিনিয়র পরিচালক আমরান ইয়েন, ব্যবস্থাপক হারি জয়নাল আবেদিন ও পরিচালক দক্ষিণ এশিয়া সৈয়দ জাহির উদ্দিন।

এর আগে বিএমসিসিআই-এর প্রতিনিধিদল মালয়েশিয়া ন্যাশনাল চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টি, চাইনিজ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি, ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি ও মালে চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।

সবশেষ ২০১৯ সালের জুলাই মাসে রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল শোকেস বাংলাদেশ।

মালয়েশিয়ার আরও খবর :
মালয়েশিয়ায় বহুতল ভবনে দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি কর্মীর মৃত্যু
সবার সহায়তাই বাঁচাতে পারে মালয়েশিয়াপ্রবাসী মাহবুব
মালয়েশিয়ায় অভিযোগের তালিকার শীর্ষে ‘এয়ারএশিয়া’
মালয়েশিয়ায় শ্রম রপ্তানি : সিন্ডিকেটবিরোধী আন্দোলনকারীরাই যাচ্ছেন সিন্ডিকেটে!

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!