সবার সহায়তাই বাঁচাতে পারে মালয়েশিয়াপ্রবাসী মাহবুব

আড়াই মাস ধরে মালয়েশিয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসাধীন বাংলাদেশি কর্মী মাহবুব আলম (৪৮)। অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন, পচন ধরেছে শরীরে। বাঁচাতে প্রয়োজন ৮০ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা), যা দেশে থাকা পরিবারের সাধ্যের বাইরে। একমাত্র অবলম্বনকে বাঁচাতে সরকার-বিত্তবানদের কাছে আকুতি জানিয়েছে সহায়তার।

তার করুণকাহিনী গণমাধ্যমে প্রচারের পর মালয়েশিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটির অনেকে এগিয়ে এসেছেন। এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে তিন হাজার রিঙ্গিত। অনেকে সহায়তার জন্য যোগােযাগ করছেন।

তার আগে মাহবুবের স্ত্রী সিমা আক্তারের আবেদনে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ৮ হাজার রিঙ্গিত (বাংলাদেশি ২ লাখ টাকা) সহায়তা করে, যা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। অন্যদিকে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে প্রয়োজনীয় সবধরনের সহায়তা দিলেও হাসপাতালের বিপুল পরিমাণ বিল মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।

Travelion – Mobile

২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পর্যন্ত হাসপাতালে মাহবুবের বিল হয়েছে প্রায় ৫২ হাজার রিঙ্গিত, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ লাখ টাকা। যত দিন যাচ্ছে হাসপাতালের বিলের অংক বেড়েই চলেছে। তবে এ টাকা পরিশোধ না করলে তার চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। চিকিৎসা অব্যাহত না রাখলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নাও হতে পারে বলে চিকিৎসকরা এরই মধ্যে জানিয়েছেন।

সব মিলিয়ে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করাই এখন বেশি জরুরি। হাসপাতালের বিল পরিশোধ করে দেশে ফিরিয়ে আনতে হলে বিমান ভাড়া ও আনুষঙ্গিক খরচসহ প্রায় ৮০ হাজার রিঙ্গিত প্রয়োজন।

মালয়েশিয়ায় রাওয়াংয়ে থাকা সাধারণ কর্মী মাহবুবের ভাতিজা আনোয়ার হোসেন নিজের সামান্য আয় থেকে এরই মধ্যে বাংলাদেশি মুদ্রায় ২ লাখ টাকা ব্যয় করেছেন। দেখভালের বাইরে আরও আর্থিক সহায়তায় অক্ষম তিনি।

আকাশযাত্রার ফেসবুক গ্রুপে যোগ দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করার অনুরোধ

এ অবস্থায় সরকারের বিশেষ উদ্যোগ আর বরাদ্দের আশায় রয়েছেন মাহবুবের পরিবার। পাশাপাশি দেশ ও প্রবাসে থাকা বিত্তবানদের কাছেও সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

বাবার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছে মাহবুবের ছোট মেয়ে মাহিমা আক্তার অধরা (৭)। কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদককে বলেছে, আপনারা আমার বাবাকে আমার কাছে পাঠিয়ে দিন। আমার বাবাকে দেখতে খুবই ইচ্ছে করছে।

গত ২২ জুন মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম শহরের পানির পাইপ ঠিক করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন প্রবাসী মাহবুব। সেই থেকে স্থানীয় শাহ আলম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুর্ঘটনায় প্রচন্ড আঘাতে তার মুখের হাড় ভেঙে গেছে, ডান চোখ নষ্ট হয়ে গেছে ও শিরা ছিঁড়ে মাথার ব্রেইনের গুরুতর ক্ষতি হয়েছে।

২০১৬ সালে ওয়ার্ক পার্মিটে পাম অয়েল বাগানে কাজ নিয়ে মালয়েশিয়ায় আসেন মাহবুব। পাম অয়েল বাগানের ভিসা শেষ হলে অবৈধ হয়ে যান তিনি। তবে, সরকারের রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় বৈধ হয়েছেন। মাহবুবের ৩ মেয়ে ও স্ত্রী থাকেন গাজীপুর বোর্ড বাজারে একটি ভাড়া বাসায়। পুরো সংসার নির্ভরশীল মাহবুবের ওপর।

মালয়েশিয়ায় থাকা মাহবুবের ভাতিজা আনোয়ার বলেন, সবার একটু সহযোগিতায় হয়তো আমার চাচা বেঁচে ফিরবেন। তার অপেক্ষায় রয়েছে পুরো পরিবার।

মাহবুব আলম সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে যোগাযোগ করতে পারেন +৬০১৬২৬৬২১৬২ নম্বরে। আর্থিক সহায়তার অ্যাকাউন্ট নম্বর: ১৬২১৪৩১৮১২৫২

মালয়েশিয়ার আরও খবর :
মালয়েশিয়ায় শিশু পর্নোগ্রাফির অভিযোগে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গ্রেফতার
মালয়েশিয়ায় অভিযোগের তালিকার শীর্ষে ‘এয়ারএশিয়া’
মালয়েশিয়াতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ নিহত ৭
মালয়েশিয়ায় শ্রম রপ্তানি : সিন্ডিকেটবিরোধী আন্দোলনকারীরাই যাচ্ছেন সিন্ডিকেটে!

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!