ভারতের মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

নির্বাচনের ফল প্রকাশের তিন সপ্তাহ পরেও কোনও দলই সরকার গড়তে না পারায় মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেল। এ ব্যাপারে মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভাকে অনুরোধ করেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি।

রাজ্যপালের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরে দিল্লিতে দ্রুত শুরু হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। ব্রিকসের বৈঠকের জন্য প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগেই রাজ্যপালের সুপারিশেই মোহর লাগিয়ে দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সন্ধ্যায় সেই সুপারিশপত্রে সই করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্রে কোনও দল সরকার গড়ার দাবি না জানানোয় প্রথমে বৃহত্তম দল হিসাবে বিজেপিকে (১০৫টি আসন) ডেকেছিলেন রাজ্যপাল। বিজেপি সরকার গড়বে না বলে জানিয়ে দেওয়ার পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসাবে শিবসেনাকে (৫৬) ডাকেন রাজ্যপাল, কিন্তু বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে শিবসেনাও সরকার গড়তে পারেনি। এই অবস্থায় ডাক পড়ে তৃতীয় বৃহত্তম দল এনসিপির (৫৪)। রাত সাড়ে আটটা পর্যন্ত তাদের সময় দেওয়া হলেও, তার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যায় মহারাষ্ট্রে।

Travelion – Mobile

সরকার গড়ার জন্য বাড়তি সময় চেয়েও তা না পাওয়ায়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে শিবসেনা। প্রশ্ন উঠছে, এনসিপি-কে দেওয়া নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে।

কংগ্রেস এবং এনসিপি মনে করছে, রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে গেলেও শিবসেনার নেতৃত্বাধীন সরকার গড়া সম্ভব হবে। সেক্ষেত্রেও মহারাষ্ট্রে বিজেপিকে বাইরে রেখে সরকার গড়া হলে ক্ষমতার বিভাজন কী ভাবে হবে, তা এখনও স্থির করে উঠতে পারেনি শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস।

সরকার গড়ার জন্য আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিল শিবসেনা। তবে তা নাকচ করে দিয়ে মহারাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম দল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টিকে (এনসিপি) সরকার গড়তে ডাকেন রাজ্যপাল ভগত সিং কোশিয়ারি। মহারাষ্ট্রে যা পরিস্থিতি, তাতে এনসিপিকেও সমর্থন জোগাড় করতে হবে সেই কংগ্রেস ও শিবসেনার থেকেই। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করে দেন রাজ্যপাল।

বিজেপির সঙ্গে তিন দশকের সম্পর্ক ছিন্ন করেছে শিবসেনা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তাঁদের দলের অরবিন্দ সাওয়ান্ত। তবে তাতেও তাদের সমর্থন করার ব্যাপারে দ্বিধা কাটছে না কংগ্রেসের।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!