বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেন ওমানগামী জাতীয় দলের ফুটবলাররা
সোমবার সকালে নতুন ফ্লাইটে ফের রওনা
অল্পের জন্য বিমান দুর্ঘটনা থেকে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেন বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ফিরতি ম্যাচ খেলতে ওমানগামী বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররা।
রবিবার রাতে ফুটবলারদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-০০২১) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়ে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর আবার জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়। তবে কোনো রকম অঘটন ছাড়াই প্রাণে রক্ষা পান লাল-সবুজ জার্সির ফুটবলাররা।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় জাতীয় দলের ফুটবলারদের এবং যাত্রীদের নিয়ে ওমানের উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়েছে বিমান বাংলাদেশের ভিন্ন আরেক ফ্লাইটে ফ্লাইট।
রবিবার রাতের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিডিয়া অফিসার আহসান আহমেদ অমিত জানান,‘রবিবার আমাদের ফ্লাইটের সময় ছিলো সাড়ে ৯টায়। কিন্তু সেটি ২ ঘণ্টা পিছিয়ে সাড়ে ১১টার দিকে ছাড়ে। জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের উদ্দেশে আকাশে ডানা মেলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-০০২১)।
প্রায় এক ঘণ্টা আকাশে ওড়ার পর ধুপ করে শব্দ হয়ে, বিমানের ভেতরের বাতি বন্ধ হয়ে যায় এবং এসিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তখন পাইলট ঘোষণা দেন, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে এবং পুনরায় ঢাকায় ফিরে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘোষণার পরপরই বিমানের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।’
আহসান আহমেদ অমিত জানান, পাইলটের এ ঘোষণার পর পরই আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় বিমানে। ফুটবলাররা ভয় পেয়ে যান। তারা প্রায় সবাই দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। বিমানের সাধারণ যাত্রীদের কয়েকজনকে ছোটাছুটিসহ কাঁদতে দেখা যায়। এ সময় পুরো পরিস্থিতি কেমন ছিল তা ভাবলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
রাত দেড়টার দিকে বিমানটি আবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ বলেছে বলে জানিয়ে আহসান অমিত বলেন, স্রষ্টার অশেষ কৃপায় কোনো রকম অঘটন ছাড়াই জাতীয় দলের ফুটবলাররা ঢাকায় ফিরতে পেরেছে।
অবতরণের পর ফুটবলারদের উত্তরার প্লাটিনাম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সোমবার সকালে আবার তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেওয়া হয়। সকালে সাড়ে ১০ টায় বিমানের আরেকটি ফ্লাইটে রওনা হন ওমান।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, এমন ঘটনায় জাতীয় দলের ফুটবলাররা মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত হলেও তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।