পর্তুগাল আবারও যুক্ত হতে পারে যুক্তরাজ্যের কোয়ারেন্টিন তালিকায়

করোনাক্রান্ত বেড়ে যাওয়ায়

পর্তুগালের জন্য সুসংবাদ নেই। আবারো যুক্তরাজ্যের কোয়ারেন্টিন লিস্টে পরতে পারে পর্তুগাল। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী পর্তুগালে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রতি লাখে ২১.১জন ।

ইংল্যান্ডের কভিড ১৯ প্রতিরোধ বিধি অনুযায়ী যদি কোন দেশে সাত দিনের করোন ভাইরাস সংক্রমণের হার প্রতি ১ লাখ লোকের জনের মধ্য ২০ জন বা তারও বেশি হয় সে ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিন তালিকায় যুক্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে – যার অর্থ তাদের দেশে অবতরণের পরে দুই সপ্তাহের জন্য নিজেকে কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে।

প্রেস অ্যাসোসিয়েশন বার্তা সংস্থার পরিসংখ্যান দেখায়, পর্তুগালে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সাত দিন ১ লাখ লোকের মধ্যে ২১.১ টি কোভিড-১৯ আক্রান্তের কেস পাওয়া যায়, যা ২৯ আগস্ট পর্যন্ত চলতি সপ্তাহে ১৯.৪ টি ছিল। করোনাক্রান্তের হার নিচে নেমে যাওয়ার প্রেক্ষিতে কেবল ২২ আগস্ট পর্তুগাল ব্রিটেনের “নিরাপদ তালিকায়” যুক্ত হয়েছিল।

Travelion – Mobile

ইউরোপীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের (ইসিডিসি) অনুযায়ী ৩০ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে সাত দিনের সংক্রমণ হার ছিল ১২.২১ ।

পর্তুগিজ ছুটির দিনে ইন্টারনেট অনুসন্ধানগুলি ২ হাজার % এরও বেশি বেড়ে যায়, যখন সরকার ঘোষণা দেয় ফিরে আসা ব্রিটিশদের আর ১৪ দিনের জন্য কোরায়েন্টিনে থাকতে হবে না।

শনি ও রবিবার লন্ডন এবং পর্তুগালের মধ্যে ইজিজেটের বিমানগুলি পুরোপুরি বুকিং করা হয়েছিল বলে বিমান সংস্থা জানিয়েছে। অন্যদিকে জেট ২ আজ থেকে তার যুক্তরাজ্য রুটে অতিরিক্ত আসন যুক্ত করেছে।

আলগার্ভে আগামী সপ্তাহের জন্য সকল ফ্লাইট হোটেল অলরেডি বুকড। এই সপ্তাহে ফারো এয়ারপোর্টে অধিক সংখ্যক ব্রিটিশ ট্যুরিস্ট হওয়ায় কর্তৃপক্ষকে ইমার্জেন্সি আটটি ই গেইট স্থাপন করতে হয়েছে ।

এই অবস্থায় যদি পর্তুগাল আবার ইংল্যান্ডের কোয়ারেন্টিন লিস্টে চলে যায় তাহলে আবারো ধাক্কা খাবে পর্তুগালের অর্থনীতি ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!