পর্তুগালে বাসা থেকে অফিস করার নতুন আইন জারি
‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বা বাসা থেকে কাজ- করোনা মহামারিকালীন বিশ্বব্যাপী অফিস কর্মীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেছে। কিন্তু অনেকেরই অভিযোগ বাসা থেকে কাজ করার নতুন নিয়মে আগের তুলনায় অনেক বেশি কাজের চাপ বেড়ে গিয়েছে।
অফিসের সময় শেষ হওয়ার পরেও ব্যক্তিগত সময়ে অফিস বসের ফোন বা মেসেজে কর্মীরা বেশ সমস্যার মধ্যে পড়ছেন, যা পেশাদারিত্বে পড়ে বলে অনেকের দাবি। আর এই নিয়মে পরিবর্তন আনতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিল ইউরোপীয় দেশ পর্তুগাল ।
শুক্রবার পর্তুগালের সংসদে পাশ হওয়া নতুন আইনে বাসা থেকে অতিরিক্ত কাজ করার বিরুদ্ধে বিস্ফোরণ হিসেবেই ব্যখ্যা করেছে পর্তুগালের ক্ষমতাসীন সোশ্যালিস্ট পার্টি।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, অফিস সময়ের বাইরে কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য নিয়োগকর্তারা জরিমানা মুখে পড়তে পারেন। এমনকি দূর থেকে কাজ করার জন্য কর্মীদের বিদ্যুতের বিলের খরচ ও ইন্টারনেটের খরচও দিতে হবে পর্তুগালের সংস্থাগুলোকে। কিন্তু যে সংস্থায় কর্মীর সংখ্যা ১০ জনের কম সেখানে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
প্রসঙ্গতঃ পর্তুগাল প্রথম ইউরোপীয় দেশ যারা এই বছরের জানুয়ারিতে কোভিড ১৯ মহামারীর কারণের দূরবর্তী কাজ মানে বাসা থেকে কাজ করার নিয়মে পরিবর্তন এনেছিল। বেশ কিছু অস্থায়ী নিয়ম চালু করেছিল সরকার। কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাড়া নিয়মগুলি বাধ্যতামূলক ছিল। এই নিয়মে নিয়োগকর্তারা বাড়িতে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে বাধ্য থাকবে।
নতুন নিয়মে যা থাকছে
এখন থেকে অফিস টাইমের বাইরে কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জরিমানার মুখে পড়তে পারে অফিস বা সেই সংস্থা।
বাড়ি থেকে কাজ করার সময়ে অফিস নিজেদের কর্মীদের ওপর নজরদারি করতে পারবে না।
সংসদে প্রস্তাব উঠেছিল কর্মীরা অফিসের সময়ে বাইরে কর্মসংক্রান্ত মেসেজ বন্ধ করে দিতে পারেন, কারণ এটা তাদের অধিকার। কিন্তু এই প্রস্তাবে সায় দেননি পর্তুগালের সাংসদরা।
এখন থেকে বাড়ি থেকে কাজ করার জন্য কর্মীদের বিদ্যুতের বিল, ইন্টারনেটের খরচ দিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।
যেসব কর্মীদের কিছু দিন আগে সন্তান হয়েছে, তারা সন্তানের বয়স ১৮ বছর হওয়া অবধি যেকোনও সময়ে বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন। এই জন্য তাদের আগে থেকে অফিস বা সংস্থাকে জানানোর কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।