‘নাজমুন নাহারের প্রয়াস অনন্য নারী শক্তিরই বহিঃপ্রকাশ’
নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল জেনারেলের অভিমত
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নাজমুন নাহারের দুঃসাহসী বিশ্বভ্রমণের অভিযাত্রাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশের প্রথম নারী কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা।
৭ নভেম্বর সকালে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সিটিতে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের অফিসে এই দুই কৃতি বাঙালী নারী সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
সাদিয়া ফয়জুন্নেসার সাথে আলাপচারিতায় নাজমুন জানান, গত ১৯ বছর ধরে তিনি পৃথিবীর দেশে দেশে ঘুরছেন বাংলাদেশ আর বিশ্ব শান্তির বার্তা নিয়ে। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের পতাকা বুকে নিয়ে ভ্রমণ করেছেন ১৩৫টি দেশ।
তিনি আরও জানান, তার জীবন, বেড়ে ওঠা এবং বিশ্বব্যাপী দু:সাহসিক অভিযাত্রার অন্যতম অনুপ্রেরণা যেমন তার বাবা-মা, তেমনি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পৃথিবীব্যাপী নাজমুন নাহারের বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা বহন কাহিনী মনোযোগ দিয়ে শুনেন কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুন্নেসা । দেশের পতাকা হাতে ১৩৫ দেশ ভ্রমণের অর্জনকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরার পাশাপাশি বিশ্বশান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার নাজমুনের প্রয়াস অনন্য নারী শক্তিরই বহিঃপ্রকাশ।’
তিনি নাজমুন নাহারক তার দু:সাহসিক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই লিখতে উৎসাহ দেন। বলেন, দেশের বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে তার বই দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে।
কনসাল জেনারেলের আন্তরিকতায় মুগ্ধ নাজমুন নাহার বলেন, সাদিয়া ফয়জুন্নেসার মতো নারীরা আমাদের সমাজের নারীদের বেড়ে ওঠার অপার শক্তি ও সাহস। যুক্তরাষ্ট্রের মতো জায়গায় বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছেন এই দক্ষ নারী কুটনৈতিক। তিনি বাঙালী নারীদের আদর্শ। তাঁকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।’
পরে নিউইয়র্কে নিযুক্ত প্রথম নারী কনসাল জেনারেল এবং বিশ্বজয়ী প্রথম বাংলাদেশি নাজমুন নাহার লাল-সবুজের পতাকা একসাথে স্পর্শ করে লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের সকল মানুষের জন্য শুভ কামনা করেন।
নাজমুনকে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসুলেট সার্ভিসের আধুনিকায়ন এবং অধিকতর গ্রাহক সেবাবান্ধব কার্যক্রম ঘুরে দেখান কনসাল জেনারেল।
সম্প্রতি নাজমুন নাহার অর্জন করেছেন বহু সমাদৃত আন্তর্জাতিক পিস টর্চ অ্যাওয়ার্ড। অতীতে এই সম্মানে ভূষিত হয়েছেন বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করা মাদার তেরেসা, নেলসন ম্যান্ডেলা, মায়া এন্জেলোর মত মনিষীরা।