দুর্বৃত্তের গুলি, পা কেটে প্রাণে বাঁচলেন পর্তুগাল প্রবাসী

পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের কাছাকাছি সাকাভেই এলাকায় নিজ মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারালেন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি হাবিবুর রহমান বাবলু। বাড়ি নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলায়।

শনিবার (২ নভেম্বর) ২ নভেম্বর পর্তুগালের স্থানীয় সময় রাত ৮ টার দিকে কয়েকেজন অস্ত্রধারী আফ্রিকান দুর্বৃত্ত তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হানা দেয়। তারা দোকানে ঢুকে প্রথমেই টাকা দাবী করে। না পাওয়াতে সাথে সাথে ব্যবসায়ী বাবলুর পায়ে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে যায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাবলুকে লিসবনের সাও জোসে হাসপাতালে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক জরুরি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার বাম পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ কেটে ফেলেন। বাবলুর জীবন রক্ষার্থে এর বিকল্প ছিল না বলে চিকিৎসকরা জানান।

Travelion – Mobile

বিশ্বের অন্যতম শান্তির দেশ পর্তুগাল আর শান্তিপ্রিয় হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশ সুনাম আছে দেশটিতে। এমন ঘটনার কথা সাধারনত শোনা যায় না। তাই হঠাৎ এমন ঘটনায় শোকের সাথে স্তম্ভিত ও শংকিত দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় বাবলুর পরিবার ।

লিসবন সিটি কাউন্সিলর ও পর্তুগাল বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রানা তসলিম উদ্দিন জানান,’নতুন করে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। পর্তুগালের ইতিহাসে যতদুর মনে পড়ে ২০০৩ সালে সিন্ত্রা লাইনের আল্গেইরাওতে আফ্রিকান সহকর্মির গুলিতে প্রবাসী বাংলাদেশি সিলেটের দুদু মিয়া ঘটনাস্থলেই মারা যান।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান বাবলু।

পুলিশ প্রশাসন আফ্রিকান সেই সন্ত্রাসীদের ধরতে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশি এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় আশা করছেন কমিউনিটি নেতারা।

খবর পেয়ে পর্তুগালে বাংলাদেশ কমিউনিটি, রাজনৈতিক এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের অনেকে হাসপাতালে ছুটে যান। মর্মান্তিক ঘটনার শিকার প্রবাসী ব্যবসায়ী বাবলুর পাশে থাকা এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তারা।

হাসপাতালে বাবলুকে দেখে এসে লিসবন সিটি কাউন্সিলর রানা তসলিম উদ্দিন বলেন,’খুবই মর্মান্তিক একটি ঘটনা! মানুষ বিদেশে আসে একটু শান্তি, স্বস্তি আর নিরাপত্তার জন্য। অথচ ভাগ্য প্রসন্ন না হলে কি বিপদই না চলে আসে জীবনে। আমি বাবলু ভাইকে হাস্পাতালে দেখতে যেয়ে আমার হৃদয় হু হু করে কেঁপে উঠে। আহারে জীবন!’

তিনি এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থাসহ যেকোনো প্রয়োজনে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। সে সাথে প্রবাসী যারা বেশি রাত পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খোলা রাখেন তাদের সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা রাখা এবং গ্রাহক বা ক্রেতাদের সর্তকতার সাথে সামালনো পরামর্শ দিয়েছেন।

[প্রিয় পাঠক, আকাশযাত্রা প্রবাস বিভাগে আপনিও লিখতে পারেন। রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকসহ কমিউনিটির নানান খবর, সংগঠনের খবর, ভ্রমণ, আড্ডা,আনন্দ-বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি, দেশের স্মৃতিচারণসহ যে কোনো বিষয়ে লিখে পাঠাতে পারেন। লেখা ছবিসহ মেইল করুন [email protected] এই ঠিকানায়]

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!