দক্ষিণ সুদানে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের মেজবানের সূচনা

চট্টগ্রাম অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী মেজবান-সংস্কৃতি দেশের সীমানা পেরিয়ে অনেক আগেই প্রসার হয়েছে প্রবাসেও। সেই ধারাবাহিকতায় এবার সুদূর আফ্রিকার দেশ দক্ষিণ সুদানেও প্রচলন হল এই ভোজন সংস্কৃতির। এবারের ঈদে দেশটিতে প্রথম মেজবানের সূচনা করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিল্প উদ্যোক্তা চট্টগ্রামের সন্তান সোহেল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

গত ১৩ মে ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানী জুবার মালাকিয়া এলাকায় আইএসপি সার্ভিস কোম্পানি জুবা নেটওয়ার্ক লিমিটেড প্রাঙ্গণে এই মেজবানের আয়োজন করা হয়। সোহেল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী এই ভোজন আয়োজনের খাবার তালিকায় ছিল গরুর মেজবানি মাংস, হাড্ডির চনার ডাল, ভাত, পোলাও, সেমাই। স্বাদ নিয়েছিলেন জুবার প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও কয়েকজন সুদানিসহ এক’শর মতো অতিথি।

 দক্ষিণ সুদানের রাজধানীতে জুবা নেটওয়ার্ক লিমিটেড প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেজবানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা
দক্ষিণ সুদানের রাজধানীতে জুবা নেটওয়ার্ক লিমিটেড প্রাঙ্গণে আয়োজিত মেজবানে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

উল্লেখযোগ্য অতিথির মধ্যে ছিলেন আইএসপি সার্ভিস কোম্পানি বিজেক্সের চেয়ারম্যান তারিকুল ইসলাম মনির, ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহিন শিকদার ও পরিচালক মকসুদ হোসেন, ফাস্টনেটের অপারেশন ম্যানেজার সাজ্জাদুল আমিন, এটিএক্স নেটের চিফ অপারেশন অফিসার আশফাক আযম, আরসিএস কমিউনিকেশনের পরামর্শদাতা নীল দাস।

Travelion – Mobile

মেজবান উদ্যোক্তা সোহেল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের চট্টগ্রামের মেজবানের আলাদা সুনাম আছে দেশের অন্য অঞ্চলের মানুষের কাছে। তা ছাড়া প্রবাসে থাকায় আমারও এর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। এই বাস্তবতায় এবার এখানে এই আয়োজনের শুরুটা করলাম। সবাই বেশ তৃপ্তি নিয়ে উপভোগ করেছেন। অনেক ভাল লাগছে”।

তিনি জানান, তার উদ্যোগে এখন থেকে প্রতিবছর মেজবান আয়োজন করা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার ছোট পরিসরেও করলেও আগামীতে আরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহ্যের মেজবানের স্বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা আছে তার।

দক্ষিণ সুদানে ৩ শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে কয়েকজন আইটি খাতের উদ্যোক্তা এবং বাকিরা চাকরিজীবী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এছাড়া দেশটি জাতিসংঘের মিশনের বাংলাদেশের প্রায় ১৭৫০ শান্তি কর্মী কর্মরত আছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!