ঢাকা-দুবাই রুটে দিনে চারটি ফ্লাইট চালাবে এমিরেটস

আগামী বছরের ১ লা জুন থেকে দুবাই-ঢাকা-দুবাই রুটে প্রতিদিন আরও একটি অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচারনা করবে এমিরেট্‌স এয়ারলাইন। বর্তমানে ঢাকা-দুবাই রুটে দিনে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করছে দুবাইভিত্তিক বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ও জনপ্রিয় এই বিমানসংস্থাটি ।

বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী বৃদ্ধির প্রবণতা এবং দেশের বিপুল সংখ্যক প্রবাসী যারা মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাস করেন তাদের অধিকতর সেবায় এই রুটে ফ্লাইট বাড়িয়েছে এমিরেট্‌স।

দুবাই ভিত্তিক বিমানসংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বর্তমানে চালু অন্যান্য ফ্লাইটগুলোর মতোই চতুর্থ ফ্লাইটটি হবে বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ, যার বিজনেস শ্রেণিতে ৪২টি এবং ইকোনমি শ্রেণিতে ৩১০টি আসন রয়েছে।

Travelion – Mobile

চতুর্থ ফ্লাইট ইকে ৫৮৮ দুবাই থেকে স্থানীয় সময় রাত ১০.৩০ মিনিটে ছাড়বে এবং পরদিন ভোর ৫.৩০ মিনিটে ঢাকা পৌঁছবে । ফিরতি ফ্লাইট ইকে ৫৮৯ ঢাকা থেকে সকাল ৮ টায় ছেড়ে যাবে এবং বেলা ১১টায় দুবাই পৌঁছবে।

এই ফ্লাইটের মাধ্যমে ঢাকা থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীরা দুবাই ট্রানজিট হয়ে বিশ্বের ৬টি মহাদেশে বিস্তৃত এমিরেটসের নেটওয়ার্কভুক্ত ১৫০টির অধিক গন্তব্যে আরও সুবিধাজনক সংযোগ পাবেন।

এমিরেটসের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিও) আদনান করিম জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে এমিরেটসের একটি বিশেষ বন্ধন রয়েছে; যার শুরু হয়েছে ৩৩ বছর আগে। নতুন এই ফ্লাইটটির ঘোষণা প্রমাণ করে যে এমিরেটসের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কে বাংলাদেশ কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ফ্লাইট চালু হলে ব্যবসা বা বিনোদনের জন্য ভ্রমণকারী যাত্রীরা ফ্লাইট নির্বাচনের ক্ষেত্রে আরও বেশী অপশন পাবেন।

তিনি আরো বলেন, ‘অবকাশ যাপন বা ব্যবসার কাজে ভ্রমণের জন্য সংযুক্ত আরব অমিরাত, সৌদি আরব, ওমান, কাতারসহ, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য গন্তব্যগুলোতে অধিক বৈচিত্র্যময় এবং সুবিধাজনক সময়সূচির সংযোগ পাওয়া যাবে। নতুন ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণকে উৎসাহিত করার পাশাপাশি এ দেশের পর্যটন, ব্যবসা, বাণিজ্য এবং শিল্পের উন্নয়নে জোরালোভাবে সমর্থন যোগাবে।।’

নতুন ফ্লাইটটির সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে যাতে বাংলাদেশ থেকে ভ্রমণকারী যাত্রীরা লন্ডন, রোম, ফ্রাংকফুর্ট, পোর্টো, নিউইউয়র্ক, ওয়াশিংটন ডি.সি., জোহান্সবার্গ এবং কেপটাউনসহ বেশ কিছু জনপ্রিয় গন্তব্যে আরও সুবিধাজনক সংযোগ লাভ করবেন।

এমিরেটসের ভ্রমণকারী যাত্রীরা বিজনেস শ্রেণিতে ৪০ কেজি এবং ইকোনমি শ্রেণিতে ৩৫ কেজি ব্যাগেজ এলাউন্স পেয়ে থাকেন। ভ্রমণকালে প্রতি যাত্রীর জন্য রয়েছে বিনা খরচে ২০ এমবি ওয়াই-ফাই ডাটা ব্যবহারের সুবিধা।

নতুন পরিষেবাটি দিয়ে, এমিরেটসের ‘স্কাইকার্গো’ এই রুটে প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১,১০০ টন পেট-হোল্ড কার্গো পরিবহন করতে পারবে, যা বিশ্বে বাজারে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়াজাত পণ্য এবং তাজা সামগ্রীসহ বাংলাদেশি পন্যের রফতানির পথ সুগম করবে।

১৯৮৬ সালের অক্টোবর মাসে দুটি সাপ্তাহিক ফ্লাইট নিয়ে এমিরেটস তাদের বাংলাদেশ কার্যক্রম শুরু করে। যাত্রী চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৩ সাল থেকে শুরু হয় দৈনিক ৩টি ফ্লাইট। গত ৩৩ বছরে এমিরেটস ঢাকা থেকে এবং ঢাকা অভিমুখে ৯৯ লক্ষের অধিক যাত্রী পরিবহন করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!