ডেনমার্কের বাংলাদেশ দূতাবাসে বিজয় দিবস উদযাপন

ডেনমার্কে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যথাযোগ্য মর্যাদা ও বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে ডেনমার্কস্থ প্রবাসী বাংলাদেশি মুক্তিযোদ্ধা, রাজনীতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।

বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে দেশটির রাজধানী কোপেনহেগেনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। সন্ধ্যায় দূতাবাস মিলনায়তনে একটি বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভার শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন স্বাধিকার আন্দোলনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়।

Travelion – Mobile

দিনটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয় এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণীসমূহ পাঠ করেন মিশনের কাউন্সেলর মো. শাকিল শাহরিয়ার এবং দ্বিতীয় সচিব প্রধান মো. মেহেবুব জামান। পরে প্রবাসীরা বিজয় দিবসের উন্মুক্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

বিজয় দিবসের আলোচনা বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী ও প্রবাসী নেতারা
বিজয় দিবসের আলোচনা বক্তব্য রাখছেন রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী ও প্রবাসী নেতারা

আলোচনায় রাষ্ট্রদূত এম. আল্লামা সিদ্দীকী তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি স্বাধীন বাংলাদেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অনন্য নেতৃত্ব ও অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন, এ বছরের বিজয় দিবসে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর সুগভীর তাৎপর্যের সঙ্গে যোগ হয়েছে উন্নয়ন ও অগ্রগতির কয়েকটি মাইলফলক। জাতির পিতা যে সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্নযাত্রা শুরু করেছিলেন, তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও পরিশ্রমে সেই স্বপ্নযাত্রা গতি পেয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে এবং সেই সাথে আর্থসামাজিক উন্নয়নের নানা বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশ মর্যাদাপূর্ণ স্থান অধিকার করেছে। ।

তিনি উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য রাষ্ট্রদূত সকল প্রবাসী বাংলাদেশিদের আহ্বান জানান। সেই সাথে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ভাবমূর্তি সমুন্নত করার লক্ষ্যে দূতাবাসের সবার নিরলস প্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করেন।

পরে দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশি খাবারের পরিবেশনায় সান্ধ্য ভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!