জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা মালিক ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৭ মিলিয়ন ডলারের প্রতারণার মামলা

মুম্বাই-ভিত্তিক একটি ট্র্যাভেল এজেন্সির সঙ্গে ৫০০ মিলিয়ন রুপির (৬.৯ মিলিয়ন ডলার) প্রতারণার অভিযোগে মামলা হয়েছে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা প্রাক্তন মালিক নরেশ গয়াল এবং তাঁর স্ত্রী অনিতা গয়ালের বিরুদ্ধে ।

মুম্বই পুলিশ নিশ্চিত করেছে, গত বছরের মার্চ মাসে জেট এয়ারওয়েজ থেকে পদত্যাগ করা এই দম্পতির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করে আকবর ট্রাভেলস।

১৮ ফেব্রুয়ারি জারি করা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশের পরে মুম্বাইয়ের মাতা রমাবাই আম্বেদকর মার্গ এলাকায় পুলিশ এই দম্পতির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারাতে অভিযোগ দায়ের করে।

Travelion – Mobile

অভিযোগটি দায়ের করেছেন দক্ষিণ মুম্বাইয়ের ক্র্যাফোর্ড জেলায় অবস্থিত আকবর ট্র্যাভেলসের চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার রাজেন্দ্রন নেরুপাম্বিল।

অভিযোগের পাঠ্য অনুসারে, আকবর ট্র্যাভেলস ১৯৯৪ সাল থেকে জেট এয়ারওয়েজের সাথে ব্যবসা করে আসছিল। তবুও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে অভিযুক্তরা জেট এয়ারওয়েজের আর্থিক সংকটের পরিমাণটি ধারাবাহিকভাবে গোপন রেখেছিলেন এবং ট্র্যাভেল এজেন্সিটিকে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে কোনও লোকসান পড়বে না।

অভিযুক্তের আশ্বাসে, সংস্থাটি কম দামে মুম্বই ইন্ট’ল এবং ম্যানচেস্টার আন্ত’ল এর মধ্যে রুটের জন্য জেট এয়ারওয়েজের টিকিট ক্রয়-বিক্রয় চালিয়ে যায়। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে তাদের ফ্লাইট বাতিল শুরু হয় এবং এপ্রিলে এসে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

আকবর ট্র্যাভেলসের অভিযোগ, জেট এয়ারওয়েজ তাদের এজেন্সির ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিশ্চয়তা অব্যাহত রাখলেও ক্রমবর্ধমান বাতিল হওয়া সত্ত্বেও টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি। জেট এয়ারওয়েজের কাছে ৫০০ মিলিয়ন রুপি পাওনা আটকা পড়ে।

গত বছরের ২৫ শে মার্চ নরেশ গয়াল এবং অনিতা গয়াল জেট এয়ারওয়েজের বোর্ড থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ১ এপ্রিল সমস্ত কার্যক্রম স্থগিত করে বিমানসংস্থাটি ।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বর্তমানে জেট এয়ারওয়েজের আড়াইশো বিলিয়ন রুপীরও (৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বেশি দেনা রয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!