জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির পরিচয়পত্র পেশ

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজের কাছে তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন। এর আগে ২৮ জুলাই স্থায়ী মিশনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন রাষ্ট্রদূত মুহিত।

মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত হচ্ছেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের ষষ্ঠদশ স্থায়ী প্রতিনিধি। বর্তমান কর্মস্থলে যোগদানের আগে তিনি অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর সংক্ষিপ্ত সৌজন্যমূলক বৈঠকে গুতেরেজ বাংলাদেশকে জাতিসংঘের বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

Travelion – Mobile

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ একটি সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বৈশ্বিক পরিমন্ডলে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

রাষ্ট্রদূত মুহিত জাতিসংঘ ও মহাসচিবের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টাসমূহের প্রতি বাংলাদেশের অব্যাহত প্রতিশ্রুতি ও সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

স্থায়ী প্রতিনিধি জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

পরিচয়পত্র অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ড. মো. মনোয়ার হোসেন, মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট কোর্টনে র্যাট্রে এবং পিসবিল্ডিং সাপোর্ট বিভাগের অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল এলিজাবেথ ম্যারি।

পেশাদার কূটনীতিক রাষ্ট্রদূত মুহিত ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিসে যোগদান করেন। সুদীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি নিউইয়র্কস্থ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং কুয়েত, রোম, দোহা, ওয়াশিংটন ডিসি, কোপেনহেগেন ও ভিয়েনাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করেন।

অস্ট্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে তিনি ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

প্রসঙ্গতঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!