জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালন

জর্ডানে যথাযোগ্য মর্যাদায় গণহত্যা দিবস পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। জর্ডান সরকারের চলমান লকডাউন ও সামাজিক দূরত্ব ব্যবস্থার কারণে সীমিত আকারে আয়োজন করা হয় দিবস পালনের কর্মসূচি।

বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) রাজধানী আম্মানে দূতাবাসের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে আয়াত পাঠের মাধ্যমে। এরপর, ২৫ শে মার্চ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এই উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের জন্য।

জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান, যাঁর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। সেই সঙ্গে তিনি সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়
জর্ডানে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবসে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়

রাষ্ট্রদূত ২৫ শে মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের নিরস্ত্র বেসামরিক নাগরিকদের উপর পাকিস্তানী সামরিক বাহিনী দ্বারা সংঘঠিত গণহত্যা ও জঘন্য কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কর্তৃক ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার স্বীকৃতি অর্জনে বর্তমান সরকারের উদ্যোগের কথাও তুলে ধরেন।

Travelion – Mobile

তিনি বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল মুক্তি সংগ্রাম থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রেখে দেশকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি অনুরোধ জানান।

গণহত্যা দিবসের স্মরণে দূতাবাস প্রাঙ্গণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষ হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!