লেবাননে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালন
লেবাননে যথাযথ মর্যাদায় ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা–কর্মচারীসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকালে রাজধানী বৈরুতে দূতাবাসের হলরুমে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনার সভার আয়োজন করা হয়। দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান পিএসসি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গণহত্যা দিবসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্র প্রদর্শন ও স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ২৫ মার্চের কালরাত্রিতে নিহত সকলের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তৃতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল সাফি।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা গণহত্যা দিবসের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরেন ।
রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর আল মুস্তাহিদুর রহমান তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান, যাঁর ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙ্গালি জাতি স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অর্জন করে। সেই সঙ্গে তিনি সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন যাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ ও সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
তিনি ২৫ মার্চের গণহত্যার মর্মন্তুদ ঘটনাপ্রবাহ তুলে ধরে বলেন, বাঙ্গালী জাতিকে পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার অভিপ্রায়ে পাকিস্তানি বর্বর হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চের কালো রাত্রিতে যে পৈশাচিক নির্যাতন চালিয়েছিলো তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে গণহত্যার ব্যাপকতার ওপর আলোকপাত করে তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চের শোককে বঙ্গবন্ধু শক্তিতে রূপান্তরিত করে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বলেই দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আমরা স্বাধীনতা লাভ করি।
রাষ্ট্রদূত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার আহবান জানান।