কলকাতার বেকার হোস্টেলে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবাহী কক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে কলকাতায় পালিত হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস।

সোমবার সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত সরকারি বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়া হয়। কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের উপহাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসসহ উপহাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কলকাতার বিশিষ্টজনেরা। একই সঙ্গে বেকার হোস্টেলের স্মৃতিবাহী কক্ষের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যেও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় বঙ্গবন্ধুকে।

কলকাতাস্থ সোনালী ব্যাংক, বিমান বাংলাদেশসহ কলকাতার কয়েকটি সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ ভাস্কর্যে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

Travelion – Mobile

শোক দিবস উপলক্ষে কলকাতার উপহাইকমিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। দুপুরে হাইকমিশন মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও এতিমখানার শিশুদের উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।

বিকেলে উপহাইকমিশনের বাংলাদেশ গ্যালারিতে আয়োজন করা হয় বিশেষ আলোচনা সভার। আলোচনা সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

১৯১০ সালে কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই বেকার হোস্টেল। এটি সরকারি ছাত্রাবাস। বঙ্গবন্ধু কলকাতার ইসলামিয়া কলেজে ডিগ্রি পড়ার সময় এই বেকার হোস্টেলে ছিলেন ১৯৪২ থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত। ইন্টারমিডিয়েট পাস করে তিনি ১৯৪২ সালে ভর্তি হয়েছিলেন এই ইসলামিয়া কলেজে। ছিলেন ২৪ নম্বর কক্ষে। সেদিনকার এই ইসলামিয়া কলেজের নাম পরিবর্তন করে এখন নামকরণ করা হয়েছে মাওলানা আজাদ কলেজ। ১৯৪৬ সালে বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজ ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক হন। ১৯৪৭ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন এই ইসলামিয়া কলেজ থেকে স্নাতক পাস করেছিলেন।

১৯৯৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে বেকার হোস্টেলের ২৩ ও ২৪ নম্বর কক্ষ নিয়ে গড়া হয় বঙ্গবন্ধু স্মৃতিকক্ষ। এই স্মৃতিকক্ষে এখনো রয়েছে বঙ্গবন্ধুর ব্যবহৃত খাট, চেয়ার, টেবিল ও আলমারি। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু ২৪ নম্বরের পাশের ২৩ নম্বর কক্ষটিকে যুক্ত করে স্মৃতিকক্ষ গড়ার উদ্যোগ নেন।
সূত্র : প্রথম আলো

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!