করোনায় মৃত্যুতে চীনকেও ছাড়ালো ইতালি!

ইতালিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৪২৮ জন বেড়ে ৩ হাজার ৪০৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ভাইরাসটিতে প্রাণহানির সংখ্যায় চীনকেও ছাড়িয়ে গেল ইউরোপের দেশটি। চীনে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ হাজার ২৪৫ জন।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) ইতালি নাগরিক সুরক্ষা সংস্থা সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, এখন পর্যন্ত ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা মোট ৪১ হাজার ৩৫ জন। এর ২ হাজার ৯৯৮ জনের অবস্থা আশংখাজনক। আর গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩২২ জন।

গতকাল ইতালিতে করোনাভাইরাসে একদিনে রেকর্ড সংখ্যক ৪৭৫ জনের মৃত্যু হয়। এই মরণঘাতি ভাইরাসের প্রাদূর্ভাব শুরুর পর থেকে চীনসহ বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে এটাই ছিল একদিনের সর্বোচ্চ রেকর্ড । প্রাদুর্ভাবের শীর্ষে থাকা চীনে ২৩ ফেব্রুয়ারি একক দিনে সর্বোচ্চ ১৫০ জন করোনা আক্রান্তে মারা যান।

Travelion – Mobile

করোনায় ইতালির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল লম্বার্ডিতে এক দিনে ৩১১ জন মারা গেছেন।

জাতিসংঘ এবং ইতালির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ দেশটিতে উচ্চ মৃত্যুর হারের বিভিন্ন কারণ উল্লেখ করেছে। বিশেষত ইতালিতে বয়স্ক লোকের সংখ্যা বেশি হওয়াই ভাইরাসটিতে মৃতের হার বেশি হওয়ার উল্লেযোগ্য কারণ।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতালিতে মারা যাওয়া লোকেদের মধ্যে ৮৭ ভাগের বয়স ৭০ বছরের বেশি।

গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। এরপর তা পুরো চীন ও বিশ্বের অন্তত ১১৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বৈশ্বিক এ মহামারিতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৩৬ হাজার ৯২১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটিতে মৃত্যুবরণ করেছেন ৯ হাজার ৮২৩ জন। যার বেশিরভাগই ইতালি ও চীনের।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ২ লক্ষাধিক করোনা আক্রান্তের মধ্যে ৮০ শতাংশই ইউরোপ এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ঘটেছে, যার মধ্যে রয়েছে এশিয়ার অনেক দেশ।

এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চীনের পরেই সবচেয়ে বেশি আঘাত এসেছে ইরানে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে ইতোমধ্যে ১ হাজার ২৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!