ওমান থেকে দেশে ফিরল আরও ২৮৯ প্রবাসী বাংলাদেশি

ওমানের কারাগার থেকে বিশেষ ক্ষমায় মুক্তি দেওয়া ২৮৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরে এসেছেন। দেশটির সরকার একটি বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে পাঠানো ব্যবস্থা করে।

এ নিয়ে দেশটি থেকে দুই দফায় ৪৬৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হল। এর আগে গত মাসে আগে ১৮০ জনকে দেশে ফেরত পাঠায় ওমান।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬.৪৮ মিনিটে ২৮৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে নিয়ে ওমান এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

Travelion – Mobile

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ জানান, স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ওমান সরকার এই বাংলাদেশিদের কোয়েন্টিইনের সময় পার করেছেন বলে নিশ্চিয়তা দিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে। সে কারণে তাদের সবাইকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর প্রয়োজন পড়ছে না। থার্মাল স্কিনিংয়ে কারো তাপমাত্রা বেশি থাকলেই তাকেই শুধু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হবে। বাকিরা নিজ বাসায় ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন থাকবেন।

ওমান থেকে জানা গেছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের অন্য দেশগুলোর মতো কারাগারে থাকা প্রবাসী কয়েদীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নেয় ওমান সরকার। দেশটির সুলতানের বিশেষ ক্ষমার আওতায় গত মাসের শুর থেকে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

যারা এরই মধ্যে দীর্ঘদিন সাজা ভোগ করছেন এবং যাদের অপরাধ গুরুতর নয় মানে ছোটখাট অপরাধে সাজা ভোগ করছেন তেমন কয়েদীদের বিশেষ ক্ষমার আওতায় মু্ক্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত মাসে প্রথম দফায় দেশটির সোহার কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া ১৮০ জন বাংলাদেশি কয়েদীকে সালাম এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশ ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

আজকের বিশেষ ফ্লাইটে ফেরত আসা ২৮৮ বাংলাদেশি ছিলেন ওমানের সালালা-সামাইল জেলখানা এবং বিভিন্ন থানার কয়েদী ছিলেন।

এ পর্যন্ত ফেরত আসাদের মধ্যে অনেকে ৫ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত সাজা ভোগ করা কয়েদীও রয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ভিসাবিহীন বা অবৈধ হওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার কয়েদীও আছেন।

ওমান এখন পর্যন্ত কেবলমাত্র জেলে থাকা কয়েদীর জন্য বিশেষ ক্ষমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাইরে থাকা ভিসাহীন বা অবৈধ হওয়া প্রবাসীদের জন্য এখনও পর্যন্ত কােন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হয়নি বলে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র নিশ্চিত করেছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!