ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ-গন্তব্য আরও বাড়ছে

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে চলতি বছরের শেষে এবং আগামী বছরের শুরুতে তিনটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট যুক্ত হবে। বর্তমানে দেশের শীর্ষ বেসরকারি বিমান সংস্থারটির বহরে ৪টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ এবং ৭টি ব্র্যান্ডনিউ এটিআর ৭২-৬০০সহ মোট ১৪টি উড়োজাহাজ রয়েছে। নতুন ৭টি নিয়ে মোট উড়োজাহাজ হবে ২১টি। এছাড়াও ২০২৩ সালের মধ্যে ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজের বহরে আরো ৮টি এয়ারবাস, ৩২১-এলআর সিরিজের উড়োজাহাজ যোগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

অন্যদিকে আগামী বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার কলম্বো রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। এছাড়া সৌদি আরবের জেদ্দা, দাম্মাম, মদিনা, রিয়াদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ ও আবুধাবিতে ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে সংস্থাটির। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সরাসরি এবং লন্ডন, আমস্টারডাম, রোম, প্যারিসসহ ইউরোপের বিভিন্ন গন্তব্য ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে।

সোমবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পর্যটন নগরী কক্সবাজারের একটি বেসরকারি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) মো. কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, গত আট বছরের অভিজ্ঞতাকে সঙ্গে নিয়ে আগামী বছর নতুন নতুন গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করতে যাচ্ছি। শ্রীলংকার কলম্বো ছাড়াও ধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নতুন অনেক গন্তব্যে ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে ইউএস-বাংলার।

কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী বছরের মধ্যে যদি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশন ক্যাটাগরি-ওয়ান অর্জন করতে পারে তাহলে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২০২৩ সালের মধ্যে ঢাকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বর্তমান ফ্লাইট পরিচালনা পরিস্থিতি নিয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এয়ার বাবল চুক্তির অধীনে ইউএস-বাংলা ঢাকা থেকে কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া দুবাই, দোহা, মাস্কাট, এশিয়ার অন্যতম গন্তব্য সিঙ্গাপুর, কুয়ালালামপুর ও চীনের গুয়াংজুতে স্বল্প পরিসরে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। আশা করছি শিগগিরই ব্যাংকক রুটেও ফ্লাইট শুরু হবে।

তিনি জানান, গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে দেশে ক্রস কান্ট্রি ধারণায় ইউএস-বাংলা যশোর থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং উত্তরবঙ্গের একমাত্র সচল বিমানবন্দর সৈয়দপুর থেকে চট্টগ্রামে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। খুব শিগগির সৈয়দপুর থেকে কক্সবাজার, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার রুটেও ফ্লাইট শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।

এ ছাড়া ১৯ নভেম্বর থেকে ঢাকা-মালে রুটে প্রথমবারের মতো সরাসরি ফ্লাইট শুরু করতে যাচ্ছে।

করোনাকালে ইউএস-বাংলার কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, করোনাকালে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে ইউএস-বাংলা দুবাই, আবুধাবি, দিল্লি, চেন্নাই, মালে, কুয়ালালামপুর, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, হ্যানয়, এমনকি ফ্রান্সের প্যারিসসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ১৫০টির বেশি স্পেশাল ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।

দেশের এভিয়েশন ও ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের এভিয়েশন খাতকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারি সহায়তা চেয়ে আবেদন করেছে বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো। বিশেষ করে অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা, জেট ফুয়েল প্রাইসকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে নিরূপণ করা ইত্যাদি।